দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বল্প পুঁজি পেলেও বল হাতে দারুণভাবে লড়ছে টাইগাররা। মাত্র ৩৪ রানের লিড পেয়েছে প্রোটিয়ারা, এর মাঝে হারিয়েছে ৬ উইকেট। এ অবস্থায় দিন শেষ করেছে শান্তর দল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছয় উইকেটে ১৪০ রান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের লিড ৩৪ রান। ভেরেইন ও মাল্ডার যথাক্রমে ১৮ ও ১৭ রানে অপরাজিত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি। হাসান মাহমুদের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন মার্করাম। মাত্র ৬ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ত্রিস্টান স্টাবস ও জর্জি।
দলের রান ৫০-এ পৌঁছাতেই তাইজুল ইসলামের শিকারে পরিণত হন স্টাবস। ২৩ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর একে একে আরো তিনবার উইকেট শিকারের আনন্দে মাতেন তাইজুল। যেখানে বেডিংহামকে ১১ ও জর্জিকে ৩০ রানে ফেরান তিনি।
অভিষিক্ত ম্যাথু ব্রিটস্কিকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। ২৭ রান করা রিকেলটনকে ফিরিয়ে ফাইফারের দেখা পান এ বাঁহাতি স্পিনার। দিনের বাকি সময় অবশ্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দেন কাইল ভেরেইন ও উইয়ান মাল্ডার।
এর আগে ঘরের মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একদম শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ২১ রানের মাঝে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন সাদমান ইসলাম।
মুমিনুল হক ৪ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ রানে ফেরেন। মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। লিটন দাস ১ ও মেহেদী মিরাজ ১৩ রানে ফেরেন।
এ ম্যাচে অভিষিক্ত জাকের আলী আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। আউট হন মাত্র ২ রানে। প্রথম সেশনে মাত্র ৬০ রানের মাঝে ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা। ৭৬ রানে হয় অষ্টম উইকেটের পতন।
তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছার আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে তাইজুল ইসলামের দৃঢ়তায় তা আর হয়নি। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন এ ব্যাটার। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে।
শেষ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা, উইয়ান মাল্ডার ও কেশভ মহারাজ প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নেন। অন্য উইকেট শিকার করেন ড্যান পিয়েট।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :