৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১৮ রান উইকেটে তখন বরিশালের শোয়েব মালিক ও মেহেদী মিরাজ। জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা খুলনার হয়ে বোলিং করতে আসেন দাসুন শানাকা। কিন্তু জেতাতে তো পারলেনই না, উল্টো ৪ বলেই ১৮ রান দিয়ে দলকে ডোবালেন এ লঙ্কান অলরাউন্ডার। অন্যদিকে, ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মিরাজ-মালিক।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইগার্স। লক্ষ্য তাড়ায় ২ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তামিমের দল।
রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই নাহিদুলের স্পিনে আহমেদ শেহজাদকে সাজঘরে ফেরান এনামুল হক। এরপর কেউই সেভাবে ব্যাট হাতে রান পাননি বরিশালের ব্যাটাররা।
শেষ পর্যন্ত উইকেটে লড়াই করে দলের জয় নিশ্চিত করেন শোয়েব মালিক (৪১) ও মেহেদী মিরাজ (৩১)। এদিন খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ফাহিম।
খুলনার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। এ জুটিতে ৩ ওভার কাটিয়ে দেয় দলটি। কিন্তু তৃতীয় ওভারের শেষ বলে এনামুলকে বোল্ড করেন আকিফ জাভেদ। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ করেন তিনি।
পরে উইকেটে আসেন হাবিবুর রহমান। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই রান আউট হন। খালেদের দ্রুত গতির থ্রোতে তাকে সাজঘরের পথ দেখান মুশফিক।
নিয়মিত বিরতিতে দুই উইকেট হারিয়েও দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন পারভেজ। তবে মালিকের ঘূর্ণিতে ২৪ বলে ৩৩ করে ফেরেন তিনিও।
এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন খুলনার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। লোয়ার মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ নওয়াজ (৩৮) ও টেল এন্ডারে এসে ঝোরো ব্যাটিং করেন ফাহিম আশরাফ (৩২)। মূলত তাদের দুজনের ব্যাটে ভর দিয়েই ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি সংগ্রহ করে খুলনা।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন শোয়েব মালিক ও তাইজুল ইসলাম।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :