আর টেস্ট খেলতে চান না তাসকিন

কাঁধে চোট নিয়েই ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন তাসকিন আহমেদ। চোট পরিচর্চা করে কোনোরকমে বিশ্বকাপ শেষ করেন তিনি। তবে চোটের গভীরতা অনুধাবন করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ থেকে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়।

প্রায় দুই মাসের বিশ্রামে থেকে দশম বিপিএল দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফেরেন তাসকিন। এই টুর্নামেন্টের মাঝেই দেশসেরা পেসারের উপলব্ধি হয়েছে, টেস্ট ছেড়ে দিলে ওয়ানডে–টি২০ ক্যারিয়ার বড় হতে পারে।

কাঁধের লিগামেন্টের টিআর বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে বলে জানান তাসকিন। আর অস্ত্রোপচার হলে এক বছর খেলার বাইরে থাকতে হবে পুনর্বাসন সম্পন্ন করতে। বোলিংয়ের পুরোনো ছন্দ ফিরে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা থাকবে।

যেটা ভীষণ ভাবাচ্ছে তাসকিনকে, ‘বিশ্বকাপের সময় ৪০ শতাংশ ছিঁড়েছে। বেশি চাপ দিলে ছেঁড়ার পরিমাণ বাড়বে। তখন অস্ত্রোপচারে যেতে হবে। আর অস্ত্রোপচারের পর লম্বা বিরতি থাকে। আগের মতো বোলিং নাও হতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু সাদা বলের ক্রিকেট খেললে চাপ কম পড়বে। পরিচর্যা করে খেলে যেতে পারব। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, বোর্ড আমার সমস্যা উপলব্ধি করতে পারবে।’

এদিকে তাসকিনকে পছন্দের সংস্করণ বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হবে কিনা– জানতে চাওয়া হলে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘সে আমাদের কিছু বলেনি। বললে মেডিকেল বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। কারও সমস্যা থাকলে তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত। দেখি ও কী বলে।’

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গতকাল সিলেটে ছিলেন বিপিএলের ম্যাচ দেখতে। তাসকিনের ক্যারিয়ারের স্বার্থে টেস্ট থেকে বিরতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা– জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তাসকিনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওর পরিকল্পনা জানার পর বাকি সিদ্ধান্ত।’

উল্লেখ্য, বিপিএল শেষ হওয়ার তিনদিন পরই বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে নামবে শ্রীলংকার বিপক্ষে। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০র সঙ্গে যেখানে দুটি টেস্ট ম্যাচও রয়েছে। যার জন্য দল ঘোষণার আগে নিজের এই ইচ্ছার কথা জানিয়ে রাখলেন তাসকিন।

একুশে সংবাদ/এস কে