দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের সেই বিশ্বকাপ জয়ে অন্যরকম উন্মাদনায় বিশ্বে শিরোনাম হয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকরা। যার কারণে বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে বুয়েন্স আইরেস, সবখানেই উচ্চারিত হয়েছিল বাংলাদেশের নাম।
বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার প্রতিদানও দিয়েছে আর্জেন্টাইনরা। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন থেকে শুরু করে, কোচ, খেলোয়াড় এমন কি দেশটির সরকারও বাংলাদেশের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা দেখতে তো ঢাকায় ছুটে এসেছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ। গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক।
এবার ঢাকায় আসতে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সেরা সদস্য অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকায় মার্টিনেজ ও রোনালদিনহোকে আনা ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। খবরটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ নিউজ।
টাইমস নাউ নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শতদ্রু বলেন, ‘২০২৩ সালেই ডি মারিয়ার বাংলাদেশ ও কলকাতায় আসার কথা ছিল। ক্লাব (পোর্তো) থেকে ছুটি না পাওয়ায় আসতে পারেনি। ২৪ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা জুনের প্রথমে তিনি ঢাকা ও কলকাতায় আসবেন এটা নিশ্চিত।’
বিশ্বকাপ পরবর্তী ২০২৩ সালের জুলাইয়ে মার্টিনেজ ও অক্টোবরে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদিনহো ঢাকায় এসেছিল শতদ্রু দত্তের মাধ্যমেই। যদিও দুই বিশ্ব তারকার আগমনে ছিল অনেক বিচ্যুতি। যা নিয়ে আলোচনার চেয়ে হয়েছে অনেক সমালোচনা।
সেখান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা মারিয়ার আগমনে কাজে লাগাতে চান জানিয়ে শতদ্রু দত্ত বলেন, ‘এবার বাংলাদেশে একটু বেশি সময় থাকতে পারে (ডি মারিয়া)। এবারের অনুষ্ঠান আরও সুন্দরভাবে করার পরিকল্পনা। কোনো স্টেডিয়ামে বা বড় জায়গায় হতে পারে।’
মার্টিনেজের আগমন নিশ্চিত থাকলেও শেষ দিকে ডলার সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা ছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ডি মারিয়ার ক্ষেত্রে তাই আগে থেকেই কাজ শুরু করছেন শতদ্রু, ‘এখনো চার-পাঁচ মাস বাকি রয়েছে। বাংলাদেশে কারা মারিয়ার সফরের সঙ্গে যুক্ত হবে কিভাবে সব কিছু ঠিক হবে।’ 
 
একুশে সংবাদ/এস কে
    
                        

                                        
                                            
                                                        
                            
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
												
												
												
												
												
												
												
												
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
