দেখে-শুনে খেলে চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। এর মধ্যে অদ্ভুত আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। হ্যান্ডেল্ড দ্যা বল আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।
৪৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১১৪ রান। ক্রিজে রয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন ও মেহেদী হাসান। এর আগে শুরুর দিকে অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে এলেন জাকির হাসান। মিচেল স্যান্টনারের গতি কমিয়ে কিছুটা টেনে করা ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন জাকির। বল তার ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। মিড অনে সহজ ক্যাচ নেন কেন উইলিয়ামসন।
২৪ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন জাকির। তিন নম্বরে নেমেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জাকির যাওয়ার পরেই মাহমুদুল হাসান জয়ের অস্বস্তিকর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটালেন এজাজ প্যাটেল। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
এজাজে স্টাম্পের ওপর ডেলিভারি অনেকটা আলসেভাবে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন জয়। কিন্তু ড্রিফটে পরাস্ত হন তিনি। ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে বল যায় শর্ট লেগে, সেখানে কোনো ভুল করেননি টম ল্যাথাম।
২ চারে ৪০ বলে ১৪ রান করেছেন জয়। উইকেটে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি তাকে। শুরুতে টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনের বিপক্ষে ভুগেছেন তিনি। পরে স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর আরও বাড়ে তার অস্বস্তি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন এজাজের ওভারে। পানি বিরতির পর প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন মুমিনুল হক।
এজাজ প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি পেছনের পায়ে কাট করার চেষ্টা করেন মুমিনুল। কিন্তু নিখুঁত টার্নে ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলে কাট করার মতো জায়গা পাননি তিনি। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ৫ রান করে এজাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন মুমিনুল। পাঁচ নম্বরে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিচেল স্যান্টনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে স্বাগতিকরা। ছয় নম্বরে নেমেছেন শাহাদাত হোসেন।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেও এভাবে আউট হতে পারতেন মুশফিক। তখন অল্পের জন্য তার হাতে লাগেনি বল। সেবার বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত `অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড` আউট হলেন মুশফিক।
কাইল জেমিসনের স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক।
সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করেন জেমিসন। অধিনায়ক টিম সাউদিসহ বাকিরাও যোগ দেন এতে। টিভি রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত জানান থার্ড আম্পায়ার।
এই আউটটি আগে `হ্যান্ডলড দা বল` নামে পরিচিত ছিল। ২০১৭ সালে এটিকে `অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড` এর অন্তর্ভুক্ত করে এমসিসি। ফলে ক্রিকেটের আউটের ধরন এখন দশের বদলে নয়টি। মুশফিকের বিদায়ে ভাঙল ১৫৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। ফেরার আগে ৮৩ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ৩৫ রান করেন মুশফিক।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :