AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দু’রাকাত নামাজে পাবেন এক ওমরার সওয়াব


Ekushey Sangbad
ধর্ম ডেস্ক
০৩:৩২ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
দু’রাকাত নামাজে পাবেন এক ওমরার সওয়াব

মদিনা শরিফ থেকে: দুনিয়ায় ফজিলতপূর্ণ চারটি মসজিদের একটি হলো- মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত মসজিদে কুবা।

 ‘কুবা’ একটি কূপের নাম। এই কূপকে কেন্দ্র করে যে বসতি গড়ে উঠেছে তাকে কুবা মহল্লা বলা হয়।

এই যোগসূত্রে মসজিদটির নামকরণ হয়- মসজিদে কুবা।

 নবী করিম (সা.) মদিনায় হিজরতের প্রথম দিন কুবায় অবস্থানকালে এ মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। ইতিহাসবিদরা বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন এর ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন কেবলার দিকের প্রথম পাথরটি নিজ হাতে স্থাপন করেন।

 নবুওয়াত পাওয়ার পর এটাই প্রথম মসজিদ, এমনকি ইসলামের এবং উম্মতে মোহাম্মদির প্রথম মসজিদ। মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী এবং মসজিদে আকসার পরই মসজিদে কুবার সম্মান ও ফজিলত। এ মসজিদের আলোচনা কোরআনে করা হয়েছে এবং মসজিদ সংলগ্ন অধিবাসীদের একটি বিশেষ গুণের প্রশংসা করা হয়েছে।

 কুবা মসজিদের জায়গাটি ছিলো- হযরত কুলসুম ইবনুল হিদম (রা.)-এর খেজুর শুকানোর পতিত জমি। তিনি ছিলেন আমর ইবনে আওফের গোত্রপতি। এখানে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ১৪ দিন (কেউ বলেন ১০ দিন) অবস্থান করেন ও তার আতিথ্য গ্রহণ করেন।

  পবিত্র কোরআনের সূরা তওবার ১০৮ নম্বর আয়াতে এই মসজিদের কথা উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘যে মসজিদ প্রথম দিন থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর (মসজিদে কুবা) -তাই বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে নামাজ কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। ’

 চারটি উঁচু মিনার, ছাদে ১টি বড় গম্বুজ এবং ৫টি অপেক্ষাকৃত ছোটো গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া ছাদের অন্য অংশে রয়েছে গম্বুজের মতো ছোটো ছোটো অনেক অবয়ব। মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসেন। মসজিদে নারী ও পুরুষদের নামাজের জায়গা ও প্রবেশ পথ আলাদা। অজুর জায়গাও ভিন্ন। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের ভেতরের কারুকাজও বেশ মনোমুগ্ধকর। মূল মসজিদ ভবনের মাঝে একটি খালি জায়গা আছে, সেখানেও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। দামি কারপেট বিছানো মেঝেতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন, রয়েছে জমজম পানির ব্যবস্থা।

  মসজিদের বাইরে এ মসজিদ সম্পর্কে বর্ণিত পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিসের বাণীগুলো সুন্দরভাবে লিখে রাখা হয়েছে।

 মদিনায় হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ১০ বছর কাটিয়েছেন। এ সময়ে হযরত রাসুলুল্লাহ (সা.) পায়ে হেঁটে অথবা উট কিংবা ঘোড়ায় আরোহন করে কুবা মসজিদে যেতেন। এরপর তিনি সেখানে দু’রাকাত নামাজ আদায় করতেন।

 অন্য হাদিসে আছে, প্রতি শনিবারে রাসূলুল্লাহ (সা.) কুবায় আগমন করতেন। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

 

আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করার সওয়াব একটি ওমরার সমপরিমাণ। -তিরমিজি

 হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে এক ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। -ইবনে মাজাহ

 হাদিসের এমন বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে নবীর যুগ থেকেই প্রতি শনিবার মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের জন্য গমন করা মদিনাবাসীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এখনও তাদের এই আমল অব্যাহত রয়েছে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণে কুবা মসজিদে আসা ও দু’রাকাত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। হজপালন শেষে মদিনায় অবস্থানরত হাজিরাও মসজিদে কুবায় যেয়ে নামাজ আদায় করেন।

একুশে সংবাদ/ নি.বা.24/ রখ

Link copied!