গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে আলু চাষের ধুম পড়েছে। মৌসুমের শুরুতেই আলু চাষের প্রতি কৃষকদের অনীহা থাকলেও বর্তমানে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলে আলু চাষের ব্যাপক সারা জেগেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। গত বছরের তুলনায় আলুর দাম অর্ধেকে নেমে আশায় রবি মৌসুমের শুরুতেই আলু চাষিরা এ থেকে মুখ ফিরে নিয়েছিল। হিমাগারে রাখা আলু বীজের দাম না পাওয়ায় অবশেষে অনেক চাষি আলু চাষে ঝুকে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি রবি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ১০০ হেক্টর। যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৮০ হেক্টর। আলু চাষাবাদ বেশির ভাগ হয়ে থাকে তিস্তার চরাঞ্চলে। বর্তমানে বিএডিসি আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ হতে ৩৫ টাকা কেজি। তবে খোলা বাজারের আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ হতে ৩০ টাকা কেজি।
তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আলু চাষি মন্টু মিয়া বলেন, গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে দেড়লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তারপরও লাভের আশায় চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে আলু চাষে শুরু করেছে। তিনি আশাবাদী সবকিছু ঠিকটাক থাকলে লাভ হবে। তিনি বলেন প্রতিবিঘা জমিতে আলু চাষাবাদে খরচ হয় ১৭ হতে ২০ হাজার টাকা। আলুর ফলন ভাল হলে বিঘা প্রতি উৎপাদন হবে ৮০ হতে ৯০ মন। হিমাগারে রেখে বিক্রি করলে প্রতিমন বিক্রি হবে ২০০ হতে ২৫০ টাকা দরে। এতে দেখা যায় বিঘা প্রতি লাভ হবে ৪ হতে ৫ হাজার টাকা। যতি দাম ভাল হয় হলে বিঘা প্রতি লাভ হবে ৮ হতে ১০ হাজার টাকা।
বিএডিসি আলু বীজ ডিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে আগাম আলু চাষির পরিমান অনেক কম। মাঝামাঝি সময়ে এসে ব্যাপক হারে আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার বীজের দাম অনেক কম।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, ২০২৩ সালে আলুর বাজার বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে আলুর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। কিন্তু বর্তমানে বাজার দর কম হওয়ায় আলু চাষাবাদে অনেকের মাঝে অনীহা দেখা দেয়। হঠাৎ করে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে উপজেলায় আলু চাষের ধুম পড়েছে। বীজ আলুর দাম কম হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
একুশে সংবাদ/ এমএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

