আসন্ন ৭–১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কর্মসূচি জানান।
এর আগে শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রিজভী। সেখানে তিনি বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক চরিত্রের মধ্যে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই। তার দাবি, “পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা এক হয়েছেন। গণতন্ত্রকে আঘাত করেছেন দুজনই। ব্যাংক লুট করেছিলেন এরশাদ, আর এর চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, “আদালতকে প্রভাবিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আদালতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা এখন নিজের গড়া আদালত ও ট্রাইব্যুনালেই বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অবৈধ ক্ষমতার জোরে দেশের আইন নিজের স্বার্থে প্রয়োগ করেছিলেন শেখ হাসিনা।” তার দাবি, এখন আর রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গুম-খুন হচ্ছে না, সরকারে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নেই এবং আদালতকে প্রভাবিত করার ঘটনাও নেই—যা অতীতে ঘটত।
রিজভী বলেন, “যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিককে হত্যা করেছে—তাদের বিচার হবেই। পাপ কেউ এড়াতে পারে না, বিচারও থেমে থাকে না।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

