অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আজ সকালেও অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েক শত নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নিয়ে টানা স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে বারবার উঠে আসছে— “ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগকে ব্যান করো”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে”, এবং “ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর”।
রাত ২টার দিকে বিক্ষোভস্থলে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। সেই দাবি আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে জানিয়েছি। কিন্তু নয় মাস পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি, এজন্যই আমরা আবার রাজপথে।”
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে যমুনার সামনে উপস্থিত হন এনসিপির শীর্ষ নেতারা। কিছুক্ষণ পরেই তারা মাইকে স্লোগান দিতে শুরু করলে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এই বিক্ষোভ ঘিরে যমুনার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
এনসিপির দাবি ও আন্দোলনের এই ধারাবাহিকতা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে গত রাতেই সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং এর কিছু সময়ের ব্যবধানে যমুনার সামনে বিক্ষোভ—এই দুটি ঘটনা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে