ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে আয়োজিত জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ার পর গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান হামলার শিকার হন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। সমাবেশটি জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের জন্য আয়োজিত হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য শেষে ফারুক হাসান তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই সরকারকে কোনোভাবেই মানা যায় না। যে সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, সেই সংবিধান কোনোভাবেই মানা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আমরা কখনোই চাইনি; আমরা চেয়েছি বিপ্লবী সরকার। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর হেডকোয়ার্টার হয়ে ওঠা বঙ্গভবন থেকে যেই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তা আমরা মানি না।”
এরপর উপস্থিত জনতার একাংশ তাকে বাধা দেন। তিনি সমাবেশস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করলে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এদিকে, সমাবেশের আয়োজক জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মো. আরিফ দাবি করেন, কে বা কারা ফারুক হাসানের ওপর হামলা করেছে, তা তাদের জানা নেই।
একুশে সংবাদ/এনএস



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

