প্রয়াত নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দল তৃণমূল বিএনপি নতুন চমক নিয়ে আসছে। দলটিতে বিএনপির সাবেক জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ যোগ দিয়েছেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিএনপি’তে যোগ দেন তারা।
বিএনপি ছেড়ে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
জানা যায়, প্রথম কাউন্সিলের পর থেকে দলছুট কিংবা বিএনপির বহিষ্কৃত আলোচিত নেতাদের ভেড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে তৃণমূল বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ রাজধানীতে দলটি যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কৌশলগত কারণে দলে যোগ দিতে যাওয়া নেতাদের নাম প্রকাশ করছে না।
এদিকে বিএনপির সাবেক কয়েকজন নেতার দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, একাধিকবার মন্ত্রীও হন। পরে মতবিরোধে জড়িয়ে বহিষ্কৃত হন, গঠন করেন নিজের দল।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিলেন যারা-
১. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ।
২. এডভোকেট মাহবুব হাসান তুষার, গাজীপুর ।
৩. শরিফুজ্জামান, টাঙ্গাইল, আওয়ামী লীগ পরিবারের বলে দাবি।
৪. কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, যশোরের অভয়নগর থেকে এসেছে, জাতীয় পার্টি থেকে এসে জয়েন করেছে।
৫. মো. শহিদুল ইসলাম।
৬. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, কুমিল্লা ২, মহাসচিব পল্লী উন্নয়ন পার্টি।
৭. আবুল কালাম আজাদ সাইফুদ্দিন, শিক্ষক, নীলফামারী, বিএনপির সমর্থক।
৮. সুমন মণ্ডল, বগুড়া সদর, ব্যবসায়ী, বিএনপি সমর্থক।
৯. আবু রায়হান, বগুড়া সদর, বিএনপি সমর্থক।
১০. সাজিদ খান, নারায়ণগঞ্জ, দলিল লেখক।
১১. লস্কর হারুনা রশিদ, ঝালকাঠি।
১২. শাহাদত চৌধুরী, চট্টগ্রাম।
১৩. সন্তোষ শর্মা, চট্টগ্রাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
১৪. মোহাম্মদ জাহিদ উদ্দিন, পটুয়াখালী।
১৫. সৈয়দ আহমেদ, নোয়াখালী ১, গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতেন ।
১৬. মো. শাহ আলম, কক্সবাজার ১, আওয়ামী লীগ পরিবারের বলে দাবি।
১৭. খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৮. চার্লস বৌদ্ধ গোপালগঞ্জ-১ আসন ।
১৯. অপু বৌদ্ধ, টাকা- ১৭ এর আগে কোন দল করতেন না।
২০. ডাক্তার আইভী, আগে জাতীয় পার্টি করতেন।
২১. মোহাম্মদ আলী, নেত্রকোনা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি যা ছিলেন।
২২. মুজিবুর রহমান খান, নেত্রকোনা-৫।
২৩. হাফিজুল ইসলাম, খুলনা ৬।
২৪. আবুল বাশার, বাগেরহাট ৪, ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
২৫. শেখ শাহিন মাওলা, মানিকগঞ্জ, সমাজসেবক বলে দাবি করেছেন। তার সংগঠনের নাম জাগো বাংলাদেশ।
২৬. মো. এনায়েতুল ইসলাম, পটুয়াখালী।
২৭. মো. মোশারফ জয়পুরহাট।
২৮. আব্দুল মোতালেব, নওগাঁ।
২৯. নাজিম উদ্দিন খান, খুলনা।
৩০. মাসুম বিল্লাহ, জয়পুরহাট।
৩১. নাজমুল শিকদার ।
৩২. শাহাদাত হোসেন মাসুম, নরসিংদী।
৩৩. আলহাজ্ব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
৩৪. মো. শওকত
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :