AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অক্টোবরে আ.লীগের থানা-ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:১০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
অক্টোবরে আ.লীগের থানা-ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা

আগামী অক্টোবর মাসের যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা-ওয়ার্ডের কমিটি। আপাতত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে প্রেসলিস্টের মাধ্যমে এই কমিটি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তবে কমিটি ঘোষণার আগপর্যন্ত থানা-ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নির্দেশনায় তৃণমূলের ইউনিট নেতাকর্মীরা  সকল কর্মসূচি পালন করবে।

 

দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা এতথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, যেহেতু সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবকটি থানা-ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেহেতু নিয়ম অনুযায়ী নতুন কমিটি ঘোষণা না হওয়ার পর্যন্ত আগের কমিটির নির্দেশনা মেনে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ দায়িত্ব পালন করবেন। তারা এও বলছেন, সামনের মাসে নিশ্চিত কমিটি ঘোষণা করা হবে। এতে কারো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকুক আর না থাকুক আগামী মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করতে হবে, এটা দলের হাইকমান্ডের বিশেষ নির্দেশ।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী প্রায় তিন মাস। এই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে হলে রাজধানীর প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে। আর থানা-ওয়ার্ড শক্তিশালী করতে হলে আগে কমিটি দিতে হবে এবং দলের দক্ষ-ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের কমিটিতে স্থান দিতে হবে। পরিক্ষিত নেতার প্রতিটি কর্মসূচিতে নিজ খরচে শতশত কর্মী সমর্থক নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়, এটা আমরা জানি এবং তাদের চিনি। এখন দল ক্ষমতায় তাই কর্মী ও নেতার অভাব নাই।

 

কিন্তু প্রকৃত নেতার অভাব রয়েছে। সম্প্রতি দেখা যায় দলের কর্মসূচিতে ১০ জন কর্মী-সমর্থক আনতে পারেন না, তারাই নেতাদের বাসা-অফিসে চামচামি করেন। কিন্তু যারা আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত ও দুর্দিনের নেতাকর্মী তারা কারো বাসা-অফিসে দালালি কিংবা চামচামি করতে যান না। তাদের কমিটিতে রেখে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা হবে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষণা না করলে কেউ কারো কমান্ড মানবে না। এতে নির্বাচনের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এ সুযোগে বিএনপি -জামায়াত সুযোগ নিতে পার। তাই অতিদ্রুত কমিটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

 

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬০০ ইউনিট কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করবে। আর অক্টোবর মাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় যেসব ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন না সেসব ইউনিট পুনর্গঠন করা হবে।

 

একইসঙ্গে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রতিটি শান্তি সমাবেশে ৬০০ ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে।

 

সর্বশেষ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জরুরি বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এ সময় আরও ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী অক্টোবর মাসে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি ঘোষণা করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়া কোনো কোনো ওয়ার্ড ও থানায় ৮ থেকে ১০ সদস্যর কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।

 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, দলের বর্ধিত সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬০০টি ইউনিটের নেতাকর্মীকে নিয়ে সভা করা হবে। অক্টোবর মাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী কার্যনিবাহী বৈঠকে তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সভায় যেসব ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবে না সেসব ইউনিটের নেতৃত্ব পুনর্গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ড ও থানা কমিটি ঘোষণা করার কথাও বলা হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী মাসে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি দিতে পারব।

 

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, প্রতিটা ইউনিট খুব সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল। প্রতিটা ইউনিট কমিটিতে দেড়শ কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীর ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু নিয়মিত বৈঠক না হওয়ায় সেই কার্যক্রম মুখ ধুবড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬০০টি ইউনিট কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে হাজির থাকতে হবে। তাদের নিয়ে একটা সভা করা হবে। যেসব ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ও সভায় অনুপস্থিত থাকবে সেসব ইউনিট কমিটি নতুন করে পুনর্গঠন করা হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যেসব ওয়ার্ড ও থানা কমিটি করার নির্দেশনা আছে সেগুলো করতে হবে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। ওয়ার্ড ও থানা কমিটির পদ প্রত্যাশীদের আমরা যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

একুশে সংবাদ/শ.ই.প্র/জাহা

 

 

Link copied!