AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিএনপির নৈরাজ্য-সহিংসতা রাজপথে মোকাবিলার ঘোষণা আ’লীগের


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:১৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩

বিএনপির নৈরাজ্য-সহিংসতা রাজপথে মোকাবিলার ঘোষণা আ’লীগের

বিএনপির যে কোনো নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা রাজপথে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাঠে ও রাজপথে সরব থাকবে। শান্তি সমাবেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন দলের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের নেতারা।

 

সোমবার (১৬ জনিুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি-জামাতের জঙ্গীবাদ, নৈরাজ্য, অপপ্রচার ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

 

যে কোনো নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা রাজপথে মোকাবিলা ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলেন, এক এগারোর কুশীলবরা বিএনপি-জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের দেশে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

 

বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দেশের উন্নয়নে বিএনপির গায়ে ও মনে জ্বালা ধরে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

 

তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরে। তিনি বলেন, বিএনপি অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য সমাবেশ করছে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাবেন, চিকিৎসা নেবেন। এটা নিয়ে তামাশা কটাক্ষ করার কিছু নেই। তবে অসুস্থ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।

 

বিএনপি বিলুপ্ত হয়ে যাবে: নির্বাচনে না এলে বিএনপি হাওয়ায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসুন। ওই যে আস্তে আস্তে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে কিছু দল। নির্বাচনে না আসলে আপনারাও তাদের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর বিএনপি নেতাদের সুর একটু পাল্টেছে।

 

মির্জা ফখরুল ও আব্বাস বলেছেন, আমরা সরকারকে ধাক্কা দিতে চাই না। এর কারণ ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই পড়ে গেছে। সেজন্য তারা এখন লাইনে এসেছে। তারা বলছে তারা নাকি সরকারকে ধাক্কা দিতে চায় না। বলছে আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের বিদায় চাই। আমি বলব অবশ্যই আগামী বছরের প্রথমদিকে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে আপনারা অংশ নিন এবং জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আমি দোয়া করি আপনারা যেন গতবারের থেকে এবার নির্বাচনে আরও ভালো করেন। আপনারা দেশে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবেন না।

 

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ওরা (বিএনপি) হচ্ছে সাপ। যখনই সময় সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনে আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।

 

বিএনপি বানিজ্য করতে নির্বাচনে আসবে: বিএনপি নির্বাচনে বানিজ্য করার জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসবেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের  সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

 

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে না আসলে মনোনয়ন বানিজ্য করবে কিভাবে। তারা ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, শুধু মাত্র নির্বাচনে বানিজ্য করতে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।

 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নিদেশে শান্তির জন্য সবসময় আওয়ামী লীগ মাঠে আছে। তিনি বলেন, ২১ শে গ্রানেড হামলার সময় আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে যান। আমাদের নেত্রী আইভি রহমান সহ অনেকে নিহত ও শত শত নেতাকর্মী আহত হন।

 

তিনি বলেন, আজকে বিএনপির নেতৃত্বে ৫৪ টি দল রাজপথে আন্দোলন করছে।  ৫৪ টি কেন,১০০ টি দল করলেও শেখ হাসিনার কিছুই করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আমাকে ১ হাজার ৮০ দিন জেল খাটিয়েছিল। এটা কিছু না,রাজনীতি করতে গেলে জেল- নির্যাতন ও মামলা হামলার শিকার হতে হবেই।

 

বিএনপিকে বিতারিত করতে হবে: 
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতারা বলেন পাকিস্তান, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান থেকে পাকিস্তান ভালো ছিল, তাদের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বাইচান্স বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ বাইচান্স মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এ বাংলাদেশে। এ বাংলাদেশ প্রতিষ্টিত হওয়ার কথা ছিল না, এমন ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ তারা কথা বলেন। এদেরকে রাজনীতি থেকে বিতারিত করতে হবে। এদেরকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিতারিত করতে না পারবো, বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে না।

 

যুবলীগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান: 

রাজধানীর ফার্মগেট ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ। সমাবেশে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য যুবলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যেন মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেই জন্য প্রস্তুত থাকবেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারা। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত ও নব্য রাজাকার বিএনপি আজ ষড়যন্ত্রে মেতেছে। এরা স্বাধীন দেশ চায় না। এদেরকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই আমাদের লক্ষ্য। ‘মুক্তিযুদ্ধ বাইচান্স’ গয়েশ্বরকে এমন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। নতুবা জনতা রাজপথে বিচার করবে। মুক্তিযুদ্ধ বাইচান্স নয়, জিয়া বাইচান্স মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা বহু আন্দোলন ও আত্মত্যাগের ফসল বলেও জানান তিনি। সংবিধান নিয়ে কটূক্তির জন্য বিএনপি নেতা মিণ্টুর বক্তব্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাহারের দাবি তোলেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। নতুবা জনগণ রাজপথে উচিত শিক্ষা দেবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, জিয়া কখনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, রাজাকারদের পুনর্বাসনসহ নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন।

 

স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ মিছিল:

দেশব্যাপী বিএনপি জামাতের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অপচেষ্টা এবং অশুভ অপতৎপরতার প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রাসেল স্কয়ারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সতর্ক অবস্থান। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন এর নেতৃত্বে নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

শাহবাগে ছাত্রলীগ ও স্বাচিপের অবস্থান: 

বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা-কর্মীরা। বিএনপির এই কর্মসূচি ঘিরে সোমবার বেলা সোয়া ১১টার পর শাহবাগে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সেখানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ প্রজন্মের স্বপ্ন, স্মার্ট বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের রায়’ শীর্ষক ছাত্রসমাবেশ করছেন তাঁরা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ। একইদিন বেলা ১১টার দিকে ‘বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রয়াস প্রতিরোধকল্পে’ পাশেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে স্বাচিপ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দীন চৌধুরী ও মহাসচিব কামরুল হাসান।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েত হোসেন স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির ও দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমূখ।

 

একুশে সংবাদ/সফি.প্রতি/এসএপি

 

Shwapno
Link copied!