বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটের একটি বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এসময় বলেন, সেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর মত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা দূতাবাসকে আওয়ামী লীগের প্রচার মাধ্যমে পরিণত করার প্রমাণ।
ফখরুল আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চলমান অপতৎপরতার সর্বশেষ প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ক্যাডার সমন্বয়ে গঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দলীয় তৎপরতা। পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়াই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দূতাবাসের দায়িত্ব। জনগণের করের টাকায় এসব দূতাবাসের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করে। জনগণের করের টাকায়ই সব দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়। অথচ কী নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকেও দলীয়করণের মাধ্যমে জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে! মিথ্যাচার এবং প্রতারণার কাজে লাগানো হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ার গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। সেখানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক এবং ঘৃণিত পদ্ধতিতে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কংগ্রেসম্যানের বক্তব্যের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। যদিও ঐ অনুষ্ঠানে মার্কিন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস আমন্ত্রিত ছিল না। স্পষ্টতই একটি দলীয় মাধ্যমকে ব্যবহার করে ওই বক্তব্যকে বিকৃত করে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দিয়ে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান।
একুশে সংবা/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :