AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সাংসদরা তুলোধুনো করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৬:১২ পিএম, ৩ জুলাই, ২০২১
জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সাংসদরা তুলোধুনো করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে

শনিবার (৩ জুলাই) সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম, অক্সিজেন সংকটসহ কোভিড চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে তুলোধুনো করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। একই সঙ্গে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্লজ্জ আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।

আলোচনার সূত্রপাত করে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মুহম্মদ সিরাজ বলেন, বগুড়া এখন কোভিডের হটস্পট। গত তিনদিনে সেখানে ২৪ জন মারা গেছেন। সেখানে হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলা সংকট। জেলার তিনটি কোভিড হাসপাতাল করোনা রোগীতে ঠাসা। সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, সেদিন সংসদে আমি সার্জিক্যাল মাস্ক কেনা নিয়ে কথা বলেছিলাম। আশা করেছিলাম স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেটা তদন্ত করবেন, বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বললেন, ‘এটি সত্য নয়’। এজন্য আজ আমি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এসেছি। সংসদীয় কমিটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। সত্য বিষয়টি এড়িয়ে না গিয়ে উনার তদন্ত করা উচিত ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত করতে হবে এই আমার দাবি ।

তিনি বলেন, করোনা অত্যন্ত মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সব জায়গায় সেনাবাহিনী নামিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হবে। পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জিজ্ঞেস করলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন সব দিচ্ছি। কিন্তু কোথাও কিছু নেই। এভাবে আমরা এক বছর সময় নষ্ট করেছি। আমাদের সংসদ সদস্যকে দায়িত্ব দিলে অর্থ দিলে আমরা সবকিছু ঠিক করে নিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের ওপর দায়িত্ব নয়। দায়িত্ব আমাদের ওপরে। তারা তো দুদিন পরে চলে যায়। জবাবদিহিতা তো তাদের নেই।

আইসিইউ বেড আছে। কিন্তু প্রশিক্ষিত ডাক্তার নার্স নেই। অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। অধিকাংশ রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন। বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয় কিন্তু কোনো কমিটির রিপোর্ট আজ পর্যন্ত আমাদের সামনে আসেনি। মানুষের জীবনের কী কোনো দাম নেই? করোনাতো এখন সারা বিশ্বেই রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসায় কী এ ধরনের অনিয়ম মানা যায়?

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, সাতক্ষীরায় অক্সিজেনের অভাবে ৭ জন কোভিড রোগী এক ঘণ্টার মধ্যে ছটফট করতে করতে মারা গেছেন। আগের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হকের বাড়ি সেখানে। সেখানকার হাসপাতালটি ফাইভ স্টার মানের হওয়া উচিত ছিল। মন্ত্রীরা যান, মন্ত্রী আসেন। কিন্তু নিজের এলাকাটাও ঠিক রাখতে পারেন না।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বললেন এক বছরে নাকি অনেক কাজ করেছেন। খবর আসছে বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে ৫ জন রোগী অক্সিজেন পায় তো ২০ জন লাইনে থাকে। কেবলমাত্র অক্সিজেনের কারণে তারা ছটফট করে মারা যাচ্ছেন। পত্রিকায় এত লেখালেখি হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী একটি হাসপাতালে গিয়ে এগুলো দেখেছেন। তিনি কী করেন? তিনি জুম মিটিং করেন।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড চিকিৎসার সময় নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনন্দে আত্মহারা হয়ে একটি কিস করার কারণে তাকে রিজাইন দিতে হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী মানুষ! বুঝলাম না। উনার লজ্জা শরম কিছু নেই, চরিত্র নেই। ওনার রিজাইন দেওয়া উচিত।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, উনি বলেছেন ‘হাসপাতালে লোক লাগবে, এগুলো তো আপনাদের দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো দেখেন না। নার্স, ডাক্তার যন্ত্রপাতি লাগলে আপনাদের বলতে হবে। অভিযোগ দিলে তো হবে না। এগুলোর ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু আপনাদের বলতে হবে। চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।’ ওনার বক্তব্যে মনে হচ্ছে কোনো এমপিই দায়িত্ব পালন করেন না। অথচ আমি হাসপাতালের চিকিৎসকসহ লোকবল নিয়োগের জন্য উনার দফতরে গিয়েছি। এই বক্তব্য আপত্তিজনক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোটা হাউসকে অপমান করেছেন। তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ হওয়া দরকার।

করোনা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, যেকোনো মূল্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আমাদের। যেভাবে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মনে করেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ক্ষুধা দারিদ্রের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সামনে ঈদুল আযহা। এই জন্য গরিবদেরকে দ্রুত খাদ্য দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কিছু দিন পরেই কোরবানি, কোরবানির পশু পরিবহন ও কেনাবেচায় শিগগিরই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে হবে। তা না হলে এটা নিয়েও সংকট তৈরি হতে পারে বলে জানান হারুনুর রশীদ।

 

 

একুশে সংবাদ/রাফি

সর্বোচ্চ পঠিত - রাজনীতি

Link copied!