জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু বলেন আজ ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস।৪৫ বছর আগে আজকের এইদিনে ভারতের পানি আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মজলুম মানুষের সংগ্রামী নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ফারাক্কা বাঁধের কি ভয়াবহ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে তখনি অনুধাবন করেছিলেন ৯৬ বছর বয়সি এ দুরদর্শী মজলুম জননেতা।
লাখো মানুষ সাথে নিয়ে তিনি সেই দিন গর্জে উঠেছিলেন, মুহুমুহু শ্লোগানের মধ্যদিয়ে বজ্রকন্ঠে ঘোষনা করেছিলেন, মরনবাঁধ ফারাক্কা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও। গঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দাও। গঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দাও বলে শ্লোগান নিয়ে লংমার্চের মাধ্যমে যে আওয়াজ তিনি তুলেছিলেন।
সেই দিন বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে আরেকবার দেখেছিল সদ্য স্বাধীন হওয়া একটা দেশের মানুষ তাদের নায্য হিস্যা আদায়ের জন্য কেমন ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে পারে।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করে।১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ত্রিশ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত তার পানির নায্য হিস্যাটুকু পায়নি।
পানি বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা। ফারাক্কা, তিস্তাসহ বাঁধের পর বাঁধ দিয়ে নিঃশব্দে-নীরবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। ভারত স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্য করেছেন এই জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কেন করেছেন এই প্রশ্ন না তুললেও আমরা বলতে চাই কৃতজ্ঞতারও একটা সীমারেখা আছে।তাই বলে ভারত আমাদের পানিতে মারবে, সীমান্তে আমাদের মানুষদের হত্যা করবে, কি অপরাধ আমরা করেছিলাম।
আবারও আওয়াজ তুলতে হবে পানিতে মেরে বন্ধুত্ব হয়না-পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।মরনবাঁধ ফারাক্কা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।এখনই সময় রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও শফিউল আলম প্রধানের মত সাহসী মানুষদের বাংলাদেশ গর্জে উঠুক- দেশ হিসেবে আমরা ছোট হতে পারি, কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা ছোট নয়। মনে রাখবেন স্বাধীনতার ছায়া ছাড়া গণতন্ত্র বাঁচে না।
আহমেদ সুফি
আপনার মতামত লিখুন :