ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে শুরু হওয়া সহিংসতা আরও ছড়িয়েছে। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত মৃত্যু দেখেনি কেউেই। আগের সব নির্বাচনকেই কার্যত ছাপিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ওই সময় রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এছাড়া একটি জায়গায় বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এসব হামলা-পাল্টা হামলায় দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছয়জনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এছাড়া সংঘর্ষে বিজেপি, কংগ্রেস এবং আইএসএফের একজন করে কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত অপর একজনের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে সকাল ১১টা পর্যন্ত সহিংসতায় ২৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হলেও; তারা এতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টায়। রাজ্যের ২২টি জেলার ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের আসনে এবার ২ লাখেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা রয়েছে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ভোটারের।
গত ৮ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই শুরু হয় সহিংসতা। তারিখ ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হন। এরপর শুধুমাত্র নির্বাচনের দিনই প্রাণ গেছে আরও ১১ জনের।
২০২৪ সালে ভারতে হবে লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এ কারণে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশি সহিংসতা দেখা যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :