নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাউল বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোসাঃ জেবুন্নেছা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে তিনি উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখেন এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে স্বচ্ছতা ও কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। এর আগে ২৭ আগস্ট বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০টি ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, নির্ধারিত ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১২ হাজারেরও বেশি তালিকাভুক্ত উপকারভোগী এই সুবিধা পাচ্ছেন।
চাউল নিতে আসা অনেকেই জানান, এ কর্মসূচি তাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বাজারমূল্যের তুলনায় স্বল্প মূল্যে চাল পাওয়ায় পরিবার চালাতে সুবিধা হচ্ছে।
সুবিদপুর ইউনিয়নের গোদন্ডা গ্রামের উপকারভোগী মোঃ সোহেল রানা বলেন, “সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমে ওজন পরিমাপ করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট।”
কয়েকজন ডিলার জানান, অনেক উপকারভোগীর পুরাতন বা ছেঁড়া কার্ড ও ফটোকপি থাকায় কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তবে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নতুন কার্ড সংগ্রহের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জেবুন্নেছা বলেন, “নলছিটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১২ হাজারেরও বেশি উপকারভোগীর মাঝে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী এ কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নের ডিলারের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে, যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না ঘটে এবং প্রকৃত উপকারভোগীরা সময়মতো তাদের প্রাপ্য সুবিধা পান। এটি প্রধান লক্ষ্য।”
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে