জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্য, কংগ্রেসম্যান, স্টেট ডিপার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে থাকা গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও প্রবাসীরা।
স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন বাংলাদেশের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে শাসন ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন, বৈষম্য দূরীকরণ, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে শহীদ ও আহতদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের উপর যে নিষ্ঠুর অত্যাচার, নিপীড়ন ও নৃশংসতা চালিয়েছেন, তার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসন, হত্যাযজ্ঞ, গুম-খুন ও দূর্নীতির কারণে মানুষ ছিল অসহায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বতীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য হলো বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা, যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও একটি উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।”
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ প্রদর্শন করা হয়। এতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা মানুষের মাঝে জুলাই চেতনাকে জাগ্রত রাখবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উজ্জীবিত করবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে