বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “৫৪ বছরের জটিল বিষয়গুলো একদিনের বৈঠকে মীমাংসা সম্ভব নয়। তবে উভয়পক্ষ নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করেছে এবং অন্তত একটি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে— সম্পর্কের পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধান জরুরি।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ গণহত্যার স্বীকৃতি ও ক্ষমা প্রার্থনা, আটকে থাকা নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন এবং আর্থিক বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি চায়। অন্যদিকে পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মোশাররফের দুঃখ প্রকাশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তৌহিদ হোসেন স্পষ্ট করে বলেন, “তাদের ব্যাখ্যার সঙ্গে আমাদের একমত হওয়ার প্রশ্ন নেই। আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি, ওনারা তাদেরটা বলেছেন। সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। বর্তমান সরকার চায় অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রের মতো পাকিস্তানের সঙ্গেও স্বাভাবিক সম্পর্ক।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা বিলোপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া বাণিজ্যবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ, সংস্কৃতি বিনিময়, ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা, রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার (বাসস-এপিপিসি) মধ্যে সমঝোতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও পাকিস্তানের আইএসএসআই-এর মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি হয়।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে