AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি, স্বস্তিতে মাছের বাজার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:৫০ এএম, ১১ জুলাই, ২০২৫

ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি, স্বস্তিতে মাছের বাজার

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে। ঈদের পর কিছুটা কম থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হঠাৎ এই বাড়তি দাম ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে মাছের বাজার, যা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে রামপুরা, বনশ্রীসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬৫–১৭০ টাকায়, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও তা ছিল ১৪৫–১৫০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকা কেজিতে, যা আগের ছিল ২৮০ টাকা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করেছিল ১৮০ টাকা কেজিতে। এখন বাজার সেই সীমার কাছাকাছি চলে এসেছে।

রামপুরা বাজারে গৃহিণী হাসিনা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “গত সপ্তাহে ১৫৫ টাকায় নিয়েছি, আজ ১৭৫ বলছে! এটা কীভাবে সম্ভব?”
জবাবে বিক্রেতা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, “ফার্ম থেকেই এখন ১৬০–১৬৫ টাকা পড়ে যাচ্ছে। আমরা তো লাভ বাদ দিয়ে বিক্রি করতে পারি না।”

এক পোশাকশ্রমিক রেজাউল করিম বলেন, “অফিসের পাশের দোকানে তিনদিন আগে ১৫০ টাকা ছিল, আজ বলল ১৭০! এখন তো ভাবছি মুরগি খাওয়াই বাদ দেবো।”

বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ফার্ম ও পরিবহন খাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, বর্ষাকালীন সরবরাহ সমস্যা ও ফিডের মূল্যবৃদ্ধিই মূল কারণ।

বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিন জানান, “আগে যেখানে ১৪৫–১৫০ টাকায় কিনতাম, এখন কিনতে হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। আমাদের খরচ উঠিয়ে নিতে অন্তত ১০–১৫ টাকা লাভ রাখতে হয়।”

অন্যদিকে, মাছের বাজারে এখন তেমন কোনো বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি নেই। বনশ্রী বাজারে দেখা গেছে, সকালেই তাজা রুই, কাতল, পাবদা ইত্যাদি মাছের সরবরাহ ভালো ছিল।
বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী:

> রুই ও কাতল: ৩০০–৩৪০ টাকা

> পাবদা: ৩৫০–৪০০ টাকা

> চিংড়ি: ৬৫০–৭০০ টাকা

> টেংরা: ৬০০–৭০০ টাকা

> শিং: ৪০০–৪৫০ টাকা

> কৈ: ২০০–২২০ টাকা

> তেলাপিয়া/পাঙ্গাস: ১৮০–২০০ টাকা

তবে দেশি জাতের শিং ও কৈ এখনও অনেক দামি—প্রতি কেজি ১২০০ ও ১০০০ টাকা করে।

একজন শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বললেন, “মাংসের তুলনায় এখন মাছই সবচেয়ে সাশ্রয়ী। আয় বিবেচনায় এইটা আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প।”

মাছ বিক্রেতা হুমায়ুন কবির জানান, “ঈদের পর মানুষ মাংস কম খাচ্ছে, মাছের দিকে ঝুঁকছে। দামও বাড়েনি, তাই বিক্রিও ভালো হচ্ছে।”

ঈদের এক সপ্তাহ পার হলেও অনেকের ঘরে এখনও কোরবানির মাংস সংরক্ষিত থাকায় গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসের দোকানে বিক্রি কম।

রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, “গরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৫০–৭৮০ টাকায়, খাসি ১১০০, ছাগল ১০০০ টাকা। কিন্তু কেউ আসছে না। অনেকেই এখনও ঈদের মাংস খাচ্ছে, কেউ কেউ মাছ-মুরগিতে ফিরে গেছে।”


একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে

Link copied!