ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার মধ্যে তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৯২ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করে পাকিস্তান সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে ফিরবেন ২৫ জন, যাদের মধ্যে অসুস্থ, নারী, শিশু ও চিকিৎসার জন্য ইরানে যাওয়া নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান স্থলসীমান্ত ব্যবহার করে এসব নাগরিক প্রথমে পাকিস্তানে প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে করাচি বা কাছাকাছি বিমানবন্দর দিয়ে দুবাই হয়ে তারা দেশে ফিরবেন। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ২৫ থেকে ২৬ জুনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং পাকিস্তানে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তারা বাংলাদেশে ফিরবেন।
তেহরানে বাংলাদেশের দূতাবাস দেশ ফেরার আগ্রহীদের তালিকা তৈরি করছে এবং তাদের একত্রিত করছে। সময় ও রুট চূড়ান্ত হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ওয়ালিদ ইসলাম ব্যক্তিগত সফরে দেশে ছিলেন। সংঘাত শুরুর পর তড়িঘড়ি করে তিনি তেহরানে ফেরার চেষ্টা করেন। প্রথমে তুরস্ক হয়ে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ হলে তুর্কমেনিস্তান হয়ে প্রবেশ করতে চান, কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত তুর্কি সরকারের অনুমতির মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে তিনি তেহরানে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
এক কূটনীতিক জানান, তার মাধ্যমে জরুরি কিছু নগদ অর্থ পাঠানো হয়েছে, এবং তার উপস্থিতি জরুরি হওয়ায় বহু চেষ্টার পর তেহরানে প্রবেশ নিশ্চিত হয়।
ইরানে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তাদের মধ্যে তেহরানে অবস্থান করছেন ১০–১২ জন। শুরুতে তারা দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল থাকায় অধিকাংশই পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিরাপদ থাকায় শিক্ষার্থীরা আপাতত ইরানে থাকতেই আগ্রহী। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে তারা সেখানে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে