আন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “এখন আর শেখ হাসিনার পলায়নের কোনো উপায় নেই।”বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট—বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনস ইউনিটের প্রকাশিত এক অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন, যেখানে বলা হয়েছে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শফিকুল আলম লেখেন, “বিবিসির বিশদ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনা সরাসরি নিরাপত্তা বাহিনীকে আন্দোলনকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় বহু প্রাণহানির পাশাপাশি শতাধিক শিশুর মৃত্যুও ঘটেছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ আছে। এ ধরনের তথ্য সামনে আসার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি আরও জোরালো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণহত্যার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ শেখ হাসিনার নেই। গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি যে সহিংস ও দমনমূলক শাসন চালিয়েছেন, তার জন্য তাঁকেও এবং তাঁর আদেশ বাস্তবায়নকারীদেরও জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।”
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই, শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় বলেন, “যেখানেই ওদের পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।”
ফাঁস হওয়া ওই অডিওটি ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশ পায়, যা প্রতিবেদনটির মূল প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিবিসির পক্ষ থেকে অডিওটির প্রামাণিকতা যাচাই করে নিশ্চিত করা হয়েছে, এতে থাকা কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার সঙ্গেই মিলে যায়। একই তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
প্রতিবেদনে একে “সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার সরাসরি নির্দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বা.জা/এ.জে