ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগে প্রথম ধাপে ২৮ জন বাংলাদেশি সড়কপথে পাকিস্তান সীমান্তে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় সীমান্তে পৌঁছানো এসব বাংলাদেশিকে শিগগিরই করাচিতে স্থানান্তর করা হবে। সেখান থেকে তারা দুবাই হয়ে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুরুতে ইরানে অবস্থানরত ৯২ বাংলাদেশির একটি তালিকা পাকিস্তান সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৮ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তি, নারী, শিশু এবং যাঁরা চিকিৎসার জন্য ইরানে গিয়েছিলেন—তাদের।
জানা গেছে, তেহরানে বাংলাদেশের দূতাবাস দেশটিতে অবস্থানরত আগ্রহী বাংলাদেশিদের একত্র করার কাজ করছে। এসব বাংলাদেশি স্থলপথে পাকিস্তানের সীমান্তে প্রবেশ করে করাচি কিংবা কাছাকাছি কোনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানে প্রবেশের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি ছাড়তে হবে—এমন নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এদিকে, তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ এখনই দেশে ফিরতে চাইছেন না। প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন, যাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন রয়েছেন তেহরানে। যুদ্ধ শুরুর সময় দেশে ফেরার আগ্রহ থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল মনে হওয়ায় তারা আরেকটু সময় নিতে চাইছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, “শিক্ষার্থীরা প্রথমদিকে দেশে ফেরার কথা ভাবলেও এখন বলছেন, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদ মনে হচ্ছে। তারা চাইছেন পরিস্থিতি কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে।”
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

