প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন এবং নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (২৪ মে) রাতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা এক কথার মানুষ। তিনি যা বলেন, তা করেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে। ৩০ জুনের পর কোনোভাবেই নির্বাচন পিছিয়ে যাবে না।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আলী রীয়াজ।
প্রেস সচিব জানান, সব দলই নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা প্রকাশ করেছে এবং তাঁর অধীনেই নির্বাচন চেয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাইলেও জামায়াত ও এনসিপি সময়সীমা নিয়ে দ্বিমত করেনি।
বিএনপি উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে এবং তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে—এ বিষয়েও অবগত রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে এ নিয়ে সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন বিচারপ্রক্রিয়া চলতি মাসের মধ্যেই শুরু হবে। বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।”
এনসিপি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পাশাপাশি শেখ হাসিনার আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। তবে এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল—একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “ড. ইউনূস স্পষ্ট বলেছেন, জুন ৩০ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাবেন না তিনি।”
বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/ কা.বে/এ.জে