জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যে কোনটি আগে অনুষ্ঠিত হবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার (২১ মে) সকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পঞ্চম কমিশন সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের সিকোয়েন্স—কোনটি আগে হবে, কোনটি পরে হবে— সেটি ইসির নয়, সরকারের এখতিয়ার। ইসির দায়িত্ব নির্বাচন আয়োজন করা।”
এ সময় তিনি বলেন, কমিশন তার নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই কাজ করছে এবং আগামীতেও করবে। তবে ইসি পুনর্গঠনের দাবিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সময় নির্বাচন ভবনের বাইরে এনসিপির (ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি) নেতাকর্মীরা ইসির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সানাউল্লাহ বলেন, “এটি রাজনৈতিক বিষয়, এ নিয়ে কমিশনের কোনো মতামত নেই।”
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গেজেট প্রকাশ ও তার পক্ষে ইসির ‘নীরবতা’ নিয়েও চলছে সমালোচনা। এ বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, “আইন-বিধি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ইসির পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। অতীতেও এ ধরনের নজির পাওয়া যায় না।”
তিনি আরও জানান, কমিশন সব নিয়ম মেনে কাজ করছে এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চাইলেও এনসিপি আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ////র.ন