সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে সফরে এসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটযোগে তিনি পৌঁছান চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুনচট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রধান উপদেষ্টার আগমন নিশ্চিত করেছেন। দিনব্যাপী এই সফরে তিনি অংশ নিচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে ড. ইউনূস তার কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন। আজকের সফরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামের বাড়ি বাথুয়াও পরিদর্শন করবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক জোবরা গ্রাম পরিদর্শনে যাবেন, যেখান থেকে ক্ষুদ্রঋণ ধারণার সূচনা করে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ এলাকায় একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সভায় বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং চলমান প্রকল্পগুলোর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা উপভোগ করবেন তিনি। পরে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন এবং নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনেরও কথা রয়েছে তার।
চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩ একর জমির দলিল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আরও একটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। দুপুরে যাবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, যেখানে বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
চবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীকে সমাবর্তনে সনদ এবং ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করবে।
চবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এটি দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম সমাবর্তন হতে যাচ্ছে, যেখানে এক লাখেরও বেশি মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “চট্টগ্রামের মাটিতে প্রধান উপদেষ্টার এ সফর ঐতিহাসিক। সফল আয়োজন নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি।”
একুশে সংবাদ/এ.জে
