পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে টেকসই নীতিমালার উপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “টেকসই উন্নয়নের সঠিক মানদণ্ড নিশ্চিত না হলে প্রকৃত ন্যায্য রূপান্তর সম্ভব নয়। এতে বরং `গ্রীনওয়াশিং` প্রবণতা বাড়ে।”
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত "বাংলাদেশ জাস্ট ট্রানজিশন একাডেমি: সবুজ অর্থনীতিতে সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ কাজ" শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই রূপান্তর কেবল জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। কৃষি, উৎপাদন, পোশাকশিল্পসহ প্রতিটি খাতে আলাদা নির্দেশনা ও কাঠামো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, “পোড়ানো ইটের বিকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে কাঠামোগত পরিবর্তন এখনো হয়নি।”
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযোগ করেন, “উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে কেবল প্রকল্প অনুমোদনের দপ্তর হিসেবে দেখা বন্ধ করতে হবে। উন্নয়ন যাতে পরিবেশের বিরুদ্ধে না যায়, সে জন্য নীতিগত সমন্বয় অত্যাবশ্যক।”
তিনি আরও বলেন, “ভবনগুলোতে শুধু ‘সবুজ সনদ’ দিলেই হবে না। দেখতে হবে—ওগুলো নারীবান্ধব কিনা, শ্রমিকদের বিশ্রাম, পানি পুনঃব্যবহার, এবং টেকসই জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে কিনা।”
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় নীতিগত দ্বৈততা তুলে ধরে তিনি বলেন, “একদিকে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই, অপরদিকে আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থেকে বিদ্যুৎ অপচয় করি। এটি কেবল নীতির নয়, মূল্যবোধের প্রশ্ন।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত ও এনজিও—সব পক্ষ একযোগে কাজ করলে টেকসই রূপান্তর শুধু নীতিমালায় নয়, বাস্তব কাঠামোতেও প্রতিফলিত হবে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :