ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ও কর ফাঁকি হয়েছে—এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিশ্চিত করে কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)–কে ইতোমধ্যে রেকর্ডপত্র পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এই আলোচিত চুক্তির সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও তৎকালীন বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস এবং পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তি কার্যকরে তারা একাধিক পর্যায়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাড়পত্র ও সুবিধা দিয়েছেন।
এনবিআরের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই নাগাদ আদানি গ্রুপ থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ বাবদ মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ মার্কিন ডলারের শুল্ক ও কর ফাঁকি দেয়া হয়। এমনকি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মতামত উপেক্ষা করে ‘শুল্ক ও কর অব্যাহতি’ দেওয়া হয়, যার যথাযথ অনুমোদন বা পর্যালোচনার রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা এই দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎচুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আর্থিক স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চুক্তিতে এমন শুল্ক সুবিধা দেয়ার আগে স্বচ্ছতা ও বহুপক্ষীয় পর্যালোচনা জরুরি ছিল।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই অনুসন্ধান প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্টদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :