সোমালীয় জলদুস্য ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেনের সাথে যোগাযোগ হয়েছে তবে নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বুধবার (২০ মার্চ) এ তথ্য জানান তারা।
প্রসঙ্গত, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজে আছে ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ কয়লা। ৮০ কোটি টাকা দামের এই ৫৫ হাজার টন কয়লা এখন বাড়াচ্ছে উৎকণ্ঠা। কারণ, কয়লার মতো দাহ্য পদার্থ একটি নির্ধারিত মাত্রায় রাখতে হয়। এটির তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তৈরি হয় মিথেন গ্যাস। বেড়ে যায় কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রাও। তখন নিজ থেকেই জ্বলে ওঠে কয়লা। তাই কয়লাবোঝাই জাহাজকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয় তাপমাত্রা।
তবে বাংলাদেশি ২৩ নাবিক, ক্রুসহ যে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়েছে; সেখানে এটি কতটা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দিহান সবাই। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এরই মধ্যে অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন জাহাজের চিফ অফিসার। সেই বার্তায় তিনি প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ মত নিয়ে কয়লার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে বলেও জানান। তবে জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সাত দিন পর জাহাজে কয়লা কোন অবস্থায় আছে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, এসব বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পায়নি জাহাজটির মালিকপক্ষ।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

