AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
শাবান মাসের দ্বিতীয় জুমা কাল :

বরকতময় জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত


Ekushey Sangbad
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
০৬:৪৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বরকতময় জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত

আগামীকাল শুক্রবার। জুমার দিন। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি, ১০ ফাল্গুন ১৪৩০ বাংলা, ১২ শাবান ১৪৪৫ হিজরি। শাবান মাসের দ্বিতীয় জুমা। আগামী রবিবার  দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র শবে বরাত। অনেক জুমা মসজিদে  জুমার আলোচ্য বিষয়-হবে শবে বরাতের ফজিলত ও আমল।

হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে বরত সম্পর্কে ঘোষণা দেন-হজরত মুআয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতপর শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া তার সমগ্র সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিববান ৫৬৬৫, ইবনে মাজাহ ১৩৯০)প্রিয় পাঠক বৃন্দ!‘লাইলাতুল বারাআত’ শাবান মাসের বিশেষ একটি রাত। ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ তথা মধ্য শাবানের রাত হলো এ শবে বরাত। রাতটিতে ইবাদত-বন্দেগি করা বা উদযাপন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, অতিরঞ্জন ও ছাড়াছাড়ি। এসব কারণে মর্যাদা হারাতে বসেছে ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’। এ বিতর্ক, অতিরঞ্জন ও ছাড়াছাড়ির শেষ কোথায়?

আগামী রবিবার ২৫  ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত হলো-‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’। যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে শবে বরাত-খ্যাত রাতটি হাদিসে ঘোষিত ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ ভাগ্য রজনী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। অথচ হাদিসের বর্ণনায় এটি ক্ষমা কিংবা মুক্তির মাস।

কাঙ্ক্ষিত এ রাতটি নিয়ে যেমন বাড়াবাড়ির শেষ নেই। আবার এ রাতটি একেবারেই মর্যাদাহীন বলেও অনেকে মাত্রাতিরিক্ত ছাড়াছাড়িতে লিপ্ত হয়। আসুন সংক্ষেপে এ রাত সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিই-শবে বরাত কী? দুইটি শব্দ। একটি আরবি (লাইলাতুল বারাআত) অন্যটি ফার্সি (শবে বরাত)। আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ শব্দ দুটির অর্থ হলো- মুক্তির রাত। আর ফার্সিতে ‘শবে বরাত’ শব্দ দুটির অর্থ দাড়ায়- ‘ভাগ্য রজনী’। কিন্তু হাদিসের পরিভাষায় এ রাতটি ব্যবহৃত হয়- ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত।সুতরাং এ রাতটিকে শবে বরাত কিংবা লাইলাতুল বারাআত না বলে হাদিসে ব্যবহৃত ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বললে বা নামকরণ করলেই তা সুন্দর হয়। তাতে আদায় হবে পরিপূর্ণ সুন্নাত এবং সবার কাছেই হবে গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া নামকরণে বিভেদ কিংবা মর্যাদায় অতিরঞ্জন ও ছাড়াছাড়ি না করে হাদিসের ওপর আমল করাই জরুরি বিষয়। এ রাত সম্পর্কে কী বলেছেন বিশ্বনবি?

হিজরি সালের অষ্টম মাস শাবানে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসের নির্দেশনা রয়েছে। এ মাসের ১৪ তারিখ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বা শবে বরাত।আজকের পাঠকদের জন্য জুমার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরলাম। শুক্রবার সপ্তাহের সেরা দিন। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি সুরা রয়েছে। আর ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনটি অনেক বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ।মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা এ দিনকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কোরআন ও হাদীসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।আল্লাহ তায়ালা এই দিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন‘মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সূরা জুমুআ :০৯)

হাদীসে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইউসুফ (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবত (ফরজ) গোসলের মত গোসল করে সালাতের জন্য আগমণ করে, সে যেন একটি উট কোরবানী করল।

যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমণ করে, সে যেন একটি গাভী কোরবানী করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় পর্যায়ে আগমণ করে, সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমণ করে সে যেন একটি মুরগী কোরবানী করল।

পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমণ করল সে যেন একটি ডিম কোরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হয় তখন ফেরেশতাগণ জিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে থাকেন।

ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা- হজরত আদম (আ.) এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে।

জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ)

এছাড়াও হাদীস শরিফে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমা তোমাদের পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন।

জুমার আগের রাত্রিটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হাদীস শরিফে বলা হয়েছে, জুমার পূর্ববর্তী রাতে বনি আদমের সমস্ত আমল মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। (বুখারি, আহমদ)

জুম্মার দিন বিশেষ মর্যাদাবান ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো- এ দিনে বিশেষ একটি বরকতময় সময় এমন আছে, বান্দা তখন কল্যাণের যা-ই দোয়া করে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন।

রাসূল সা: প্রশ্ন করলেন, এতে জুম্মার দিনে আমাদের জন্য কী আছে? হজরত জিবরাইল আমিন বলেন, এতে এমন এক সময় রয়েছে, সে সময় কেউ নিজের কোনো নেক মাকসুদ পূরণের জন্য দোয়া করলে তা নিঃসন্দেহে কবুল হয়। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, চতুর্থ খণ্ড, ১৫৫-নং পৃষ্ঠা) হজরত আবু হুরায়রা রা: বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেন, ‘অবশ্য জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে তখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কল্যাণকর কিছু কামনা করলে অবশ্যই তাকে তা দেয়া হয়’ (বুখারি, মুসলিম)।

> পবিত্র জুমার দিনের আদব

* সাপ্তাহিক ঈদের দিন

জুমা মুসলমানের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনের অনেক ফজিলত ও গুরুত্বের কথা হাদিসে এসেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এটা শুক্রবার, যে দিনের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা আমাদের পূর্ববর্তী জাতি থেকে পৃথক করেছেন। ইহুদিদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন ছিল শনিবার, খ্রিস্টানদের জন্য ছিল রোববার। যখন আল্লাহতায়ালা আমাদের প্রেরণ করলেন, তখন শুক্রবারকে জুমার দিন হিসেবে পালন করতে নির্দেশ দিলেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৭৯৭)।

* জোহরের বদলে জুমা ফরজ

শুক্রবার জোহরের পরিবর্তে জুমার দু’রাকাত নামাজ ফরজ। এটিকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তারিক ইবনে শিহাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ক্রীতদাস, নারী, নাবালেগ বাচ্চা ও অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া সব মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা অপরিহার্য।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৬৭; মুসতাদরিকে হাকিম, হাদিস : ১০৬২; আস সুনানুল কাবির, হাদিস : ৫৫৮৭)

* জুমার প্রস্তুতি

সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে, এরপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে, তারপর মসজিদে গমন করবে, দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না, ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন, চুপ করে মনোযোগসহ শুনবে, দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়কার তার সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৯)

* সুরা কাহফ পাঠ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে, একটি নুর তার পা থেকে আসমান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। হাশরের দিনে এ নুর তার জন্য আলো হবে। এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (মুসতাদরিকে হাকিম, হাদিস : ২১২৫)

* আজান হলেই কাজকর্ম বাদ দেওয়া

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিনে যখন (জুমার) নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা অনুধাবন করো।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯)

* আগে আগে মসজিদে যাওয়া

রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার নামাজের জন্য যায় এবং সামর্থ্যানুযায়ী নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম খুতবা শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকে, এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করে, তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ২০২৪)

* প্রতি কদমে নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সকাল সকাল গোসল করল, তারপর ইমামের কাছে বসে চুপ করে মনোযোগসহ খুতবা শুনল, প্রত্যেক কদমের বিনিময়ে সে এক বছরের নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪৯৮)

* খুতবায় মনোযোগী হওয়া

জুমার খুতবার সময় যে অমনোযোগী থাকল বা নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখল, সে নিশ্চয়ই মন্দ কাজ করল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সে জুমার কোনো প্রতিদান পাবে না।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৭১৯)

* খুতবার সময় নিষেধ করাও মানা

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি খুতবার সময় অপরকে কথা না বলতে বা নীরব থাকতে বলল, সেও জুমায় কোনো প্রতিদান পাবে না।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২০৩৩)

* খুতবার সময় কথা বলা

খুতবা শোনা ওয়াজিব। রাসুল (সা.) খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আবু হুরায়রাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাকো বলবে, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে। (বুখারি, হাদিস: ৯৩৪, মুসলিম, হাদিস: ৮৫১)

খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় সত্ত্বেও অনেকে জুমার নামাজে অবহেলা করে। অযথা ও বিনা কারণে কখনও জুমার নামাজ না পড়া ঠিক নয়। এ ব্যাপারে শরিয়তে কঠোর সতর্কবাণী এসেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পর পর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহতায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১০৫২; তিরমিজি, হাদিস: ৫০২; মুসলিম, হাদিস: ১৯৯৯)

* ফরজের পরবর্তী সুন্নতের গুরুত্ব

জুমার ফরজের পরবর্তী সুন্নত অনেকে ছেড়ে দেয়। অথচ আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মাঝে যে জুমার নামাজে শরিক হলো, সে যেন জুমার নামাজ (দু’রাকাত) শেষে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২০৩৩)

* জুমার দিনে দোয়া কবুল হয়

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫২; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৭১৫১; আস সুনানুল কুবরা, হাদিস : ১০২৩৪)

* যে সময় দোয়া কবুল হয়

জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সময়ের ব্যাপারে ৪৫টি মতামত পাওয়া যায়। তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হলো, আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দোয়া কবুলের সময়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনের কাক্সিক্ষত সময় হলো আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত।’ (মুসনাদে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৫৪৬০; তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৯)

* জুমা না পড়া কাম্য নয়

খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় সত্তে¡ও অনেকে জুমার নামাজে অবহেলা করে। অযথা ও বিনা কারণে কখনো জুমার নামাজ না পড়া ঠিক নয়। এ ব্যাপারে শরিয়তে কঠোর সতর্কবাণী এসেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহতায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৫২; তিরমিজি, হাদিস : ৫০২; মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৯)

 পরিশেষে বলতে চাই, জুম্মার নামাজ আদায়ের ব্যাপারে গুরুত্ববান হলেও জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সেই বিশেষ সময়টি সম্পর্কে আমরা যারপরনাই উদাসীন ও গাফেল। অথচ দোয়া কবুল হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের সর্ব সময়ের বাসনা থাকে। প্রতিটি মুমিন মুসলমান চায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ হোক।জুম্মার দিনে দোয়া কবুলের বিশেষ সময় কোনটি- তা নিয়ে মতানৈক্য থাকলেও দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। দোয়া কবুল হওয়ার সেই বিশেষ সময়টি কোনটি তা নিয়ে একাধিক উক্তি রয়েছে। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হজরত আবু মূসা আশয়ারি রা: থেকে বর্ণিত- ইমাম যখন খুতবার জন্য মিম্বরে আসেন তখন থেকে শুরু করে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বান্দা আল্লাহর কাছে কল্যাণকর যা কিছু কামনা করে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তা দান করেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন (আমিন)

একুশে সংবাদ/এস কে

Link copied!