কোটচাঁদপুরের কৃষক শামীম খান সাপে কাটা রোগীদের কবিরাজি চিকিৎসা না নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিষধর সাপের কামড় থেকে বিষ মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি এ আহবান জানান। এ সময় তার চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রশংসা করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সেবিকা।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষিকুন্ডু গ্রামের জামাত খানের ছেলে শামীম খান (৩৮) কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। সোমবার দুপুরে ফসলের জমিতে কাজ করার সময় তিনি বিষধর সাপের কামড়ে আহত হন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত স্বজনদের সহায়তায় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখেন। কিছু সময় পর শরীরে বিষের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে সাপের বিষের প্রতিষেধক এন্টিভেনম টিকা প্রয়োগ করা হয়। এরপর শামীম খান বিষ মুক্ত হন। মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেন।
শামীম খান বলেন, “কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সেবিকা ও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় আজ আমি প্রাণে বেঁচে গেলাম। তাই আমি বলবো, আর কোনো সাপে কাটা রোগী যেন কবিরাজের বাড়িতে না যায়। সময়মতো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব।”
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভির জামান (প্রতীক) বলেন, “সাপে কাটলে মানুষ প্রথমে সাধারণত কবিরাজের কাছে যায়। অবস্থা খারাপ হলে তখন রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এতে রোগীর জন্য সুবিধা হয় এবং আমাদেরও যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ থাকে। সোমবার দুপুরে শামীম খান যখন কমপ্লেক্সে আসে, আমরা তার রক্ত পরীক্ষা করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং পর্যবেক্ষণে রেখেছি। শরীরে বিষের লক্ষণ দেখা দিলে এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সব সম্ভব হয়েছে রোগী সময়মতো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসায়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

