AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মেট্রোরেলের প্রভাবে কমে গেছে বাসের যাত্রী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৩:০৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
মেট্রোরেলের প্রভাবে কমে গেছে বাসের যাত্রী

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাসের ব্যবসায়। শহরের যানজট থেকে সময় বাঁচাতে বাস ছেড়ে যাত্রীরা বেছে নিয়েছে মেট্রোরেল। বেশি প্রভাব পড়েছে মিরপুর-১২ নম্বর থেকে চলাচলকারী বাসগুলোতে। দীর্ঘ পথের তুলনায় মাঝের কিছু অংশে বাসযাত্রী অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছে, মিরপুরকেন্দ্রিক বাসগুলোর যাত্রী প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এতে অবশ্য বাসের সংখ্যা কমেনি। গাড়ি না কমায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে আশানুরূপ যানজট কমেনি। পুরো মিরপুরকে তিনটি ভাগে ভাগ করে বাস চলাচলের পথ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মিরপুর-১, মিরপুর-১২ ও মিরপুর-১৪। এর মধ্যে মিরপুর-১২ নম্বরের পথটি মেট্রোরেলের পথের সঙ্গে অনেকাংশে মিল আছে। মিরপুর-১ নম্বরের যাত্রীদের মেট্রোর সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র না থাকলেও দূরত্ব কাছাকাছি হওয়ায় যাত্রীরা চাইলে মেট্রোর সুবিধা নিতে পারে। কিন্তু মিরপুর-১৪ নম্বরের বাসের পথের সঙ্গে মেট্রোর পথের কোনো যোগসূত্র নেই।

বাস ও মেট্রো চলে পুরোপুরি উল্টো পথে। মিরপুর-১২ নম্বর থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসের পথটি পল্লবী, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি পর্যন্ত সরাসরি আসে। এই পথে পুরোপুরি বাসের ওপর দিয়েই চলে মেট্রোরেল। তবে বিজয় সরণি থেকে বাস আবার তিন পথে ভাগ হয়ে যায়। একটি পথ চলে যায় আসাদগেট, কলাবাগান, নিউ মার্কেট হয়ে আজিমপুর ও ঢাকেশ্বরীর দিকে।

অন্য পথ সোজা ফার্মগেট, শাহবাগ ও পল্টন হয়ে গুলিস্তান-মতিঝিলের দিকে চলে যায়। এ ক্ষেত্রে আজিমপুরমুখী যাত্রীরা বিজয় সরণি পর্যন্ত মেট্রোতে চলাচল করতে পারে। যারা সোজা পথের যাত্রী, তারা মেট্রোতে করে পল্টন পর্যন্ত যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সচিবালয় মেট্রো স্টেশনে নেমে গুলিস্তানমুখী চলাচলের সুযোগ রয়েছে।

মিরপুর-১২ থেকে বিজয় সরণি হয়ে ফার্মগেট, শাহবাগ দিয়ে মতিঝিল পর্যন্ত বাস চলাচল করছে। যারা মতিঝিলের যাত্রী, তারা চাইলে পুরো পথই মেট্রোতে করে যাতায়াত করতে পারছে। মিরপুর-১২ নম্বর থেকে মেট্রোর সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে সাতটি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বাসগুলোর। এগুলো হলো—বিকল্প, শিকড়, স্বাধীন, হিমাচল, মিরপুর সুপার লিংক, সেফটি ও বিহঙ্গ।  

আবার মিরপুর-১ নম্বর থেকে সরাসরি মতিঝিলের কোনো বাস নেই। কিন্তু দিশারী ও তানজিল পরিবহনের বাসের পথের সঙ্গে মেট্রোর পথের আংশিক মিল রয়েছে। দিশারী শাহবাগ দিয়ে চলাচল করে। আর তানজিল চিড়িয়াখানা থেকে ফার্মগেট ও গুলিস্তান হয়ে চলাচল করে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার বাস চলাচল করে। এর মধ্যে মিরপুরকেন্দ্রিক প্রায় ৮০০ বাস। এতে বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর হয়ে মিরপুরের ওপর দিয়ে চলা প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহনের বাসও রয়েছে। তবে মিরপুর থেকে উত্তরামুখী তেমন বাস চলাচল করছে না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) করা এক জরিপের তথ্য বলছে, মেট্রোর যাত্রীদের ৫৯.৪১ শতাংশই বাসের যাত্রী। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করে এমন যাত্রীদের মাত্র ৪.৫১ শতাংশ মেট্রোরেল ব্যবহার করছে। মেট্রোতে সবচেয়ে কম উঠেছে যারা, ভাড়া করা কার ব্যবহার করা যাত্রীরা। তারা মেট্রোর মোট যাত্রীর ২.৪৩ শতাংশ।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মিরপুর শাখার আহ্বায়ক হুমায়ন কবির তপন বলেন, মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর বাস মালিকদের আয় কমেছে। তবে সেটা সব পথে নয়। আমাদের ধারণা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাসের যাত্রী কমেছে। তবে বাসের সংখ্যা কমেনি। কিছুদিন পর ছোট পথের যাত্রীরা আবার বাসেই চলাচল করবে। এখন নতুন নতুন অনেক যাত্রী কাজীপাড়া থেকে শেওড়াপাড়া ২০ টাকায় মেট্রোতে যাচ্ছে। শখ কমে গেলে ওই যাত্রীরা ১০ টাকায় বাসে চলাচল করবে।


একুশে সংবাদ/স.আ.প্র/জাহা

Link copied!