অর্থনীতির দক্ষিণ দুয়ার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক ১২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প
সমুদ্রের নীল নোনাজলের সঙ্গে অর্থনীতির যে গভীর মিতালি হতে পারে তারই প্রমাণ মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরটি অমূল পরিবর্তন করে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিকাশের এক নবদিগন্ত। পর্যটন নগরী ছাড়াও সমুদ্র বেষ্টিত মাতারবাড়ি উন্নয়নের শঙ্কচিল। এটি বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক হাব। সিঙ্গাপুর থেকে কাছে হবার কারণে ভারতও এটি ব্যবহার করতে পারবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে ১৮ মিটারের পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি জেটি ভিড় পারবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগসহ ১৩টি মেগাপ্রকল্পের উদ্বোধনে শনিবার কক্সবাজার যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। নতুন নতুন মেগাপ্রকল্প বাস্তাবায়ন এবং জনসমাবেশ ঘিরে কক্সবাজারের মানুষ এখন আনন্দে ভাসছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি হবে এটাই স্বাভাবিক মনে করছেন এলাকাবাসী।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালেই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় এসব তথ্য জানিয়েছে বলেছে, আইকনিক রেললাইন স্টেশন ও রেললাইন ছাড়াও সমাপ্ত হওয়া ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকাকে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মাতারবাড়ি সর্বত্র সাজ সাজ রব। জনসভাস্থলে কাজ প্রায় সম্পন্ন। ২৯ বছর পর মাতারবাড়িতে পা রাখতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানাতেই প্রস্তুত কক্সবাজার। সঙ্গী হয়েছে, সমুদ্রের অথৈ নীল জল।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রাম, বান্দরবানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষের সমাগম হবে। এসব এলাকার মানুষ উন্নয়নের প্রতীক শেখ হাসিনাকে একনজর দেখতে চান। অনুষ্ঠানকে ঘিরে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।
গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লা বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চালু হলে, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এখানে মডার্ন টাউন তৈরি হচ্ছে। গ্যাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিল্প এলাকা তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জাপানসহ অনেকেই এই অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের ইচ্ছে পোষণ করছে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :