বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের সেই ভয়াল দিনগুলি এখনো ভোলেনি মানুষ। কিভাবে নিরপরাধ মানুষজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সবাই মনে রেখেছে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যখন বিচার শুরু হয় তখনই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু হয়।
আবারো সেই ধারাবাহিকাতায় জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে তারা। শনিবারের সমাবেশসহ আজকের হরতালকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে দলটি।
হরতালের দিন রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর তাঁতিবাজার, মোহাম্মদপুর ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিন সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শিকড় পরিবহন নামে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর মোহাম্মদপুর টাউনহলের সামনে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এদিকে সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তাঁতিবাজার এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া টঙ্গী এলাকায় বিআরটিসি একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানায়, সকাল থেকে ৩টি বাসে আগুন নির্বাপণের কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৯টা ৬ মিনিটে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শিকড়’ পরিবহনের একটি গাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ করে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট। সকাল ১০টা ২২ মিনিটে টাউন হল বাজার, মোহাম্মদপুরে ‘পরিস্থান পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট পুলিশ নিরাপত্তায় আগুন নির্বাপণ করে। সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে তাঁতিবাজার মোড়, বংশাল, ঢাকায় ‘বিহঙ্গ’ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগলে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট পুলিশ নিরাপত্তায় আগুন নির্বাপণ করে।
উল্লেখ্য, রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে তা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম। ব্যক্তিগত বাহনের উপস্থিতিও অনেক কম দেখা গেছে।
একুশে সংবাদ/এসআর