AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল: ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:২৯ পিএম, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল: ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব

আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আগামী নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে এ রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

 

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আন্তঃনগর ট্রেনের নন-এসি ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। আর এসি চেয়ারে ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৬৬৭ টাকা।

 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তাবনায় বলেছে, ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির পেছনে প্রধান দুটি বিষয় উঠে এসেছে। একটি পদ্মা সেতু, অপরটি গেন্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথ। এই পথের জন্য অতিরিক্ত পথ যোগ করে ভাড়া বেশি ধরা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুকে ১৫৪ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে।

 

অন্যদিকে গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ কিলোমিটার উড়ালপথকে ১১৫ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে।

 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, এজন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও পদ্মা সেতু ও কেরানীগঞ্জের উড়ালসেতুর জন্য দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৩ কিলোমিটার।

 

বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তনগর- এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা আর আন্তঃনগর ট্রেনের নন-এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর কিলোমিটারপ্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা।

 

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, পদ্মা সেতু ও কেরানীগঞ্জের উড়ালপথের জন্য একটু ভাড়া বেশি হবে। তবে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভাড়া কমে যাবে।

 

এদিকে রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই পথে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করবে। এসব ট্রেনের মধ্যে খুলনা-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।

 

ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।

 

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেও রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা

Link copied!