বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও পণ্য পরিবহন সেবায় জনগণের অন্তরে স্থান পেয়েছে বিআরটিসি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বেতন, বিভিন্ন ভাতা, প্রতেঙ্গায় পর্যটক বাস, দেশের ২০ স্থানে কারিগরি প্রশিক্ষণসহ দেশের ৬৩ জেলায় নিরবচ্ছিন্ন যাত্রী সেবা দিচ্ছে বিআরটিসি।
মঙ্গলবার বিআরটিসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম মনে করেন, পরিবহন সেক্টরের মূল চালিকাশক্তি হলো গাড়ি। যদি গাড়ি ঠিক থাকে, গাড়ির পরিচালনা ও অপরেশন যদি ঠিক থাকে, ইনকাম যদি ঠিকভাবে হয় এর টাকা চুরি না হয়ে ফান্ডে জমা পরে, তবেই প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে বিআরটিসিতে আসার আগে গণমাধ্যমে নিউজ হতো এই খাতে ডোবার আর কিছু বাকি নেই। সেই অবস্থার উত্তোরণ হয়েছে এখন। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে কোনো টাকা না এনে প্রাতিষ্ঠানিক ইনকামের টাকা দিয়ে এখন আমরা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। কিন্তু আমাদের সাফল্যের পরেও কিছু বিশ্বাসঘাতক ও দুষ্কৃতিকারী উন্নয়নের চাকা পেছনে টানছে, সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে তাদেরও টেনে ধরতে হবে।
বর্তমানে ঢাকার আটটি রুটে মহিলা বাসসেবা ও ই-টিকিটিং সেবা, ১৯১টি বাসে বর্তমানে আনলিমিটেড ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধাসহ যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিআরটিসির ১৪ শ’র মতো বাসে সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই বিআরটিসিতে র্যাপিড পাস চালু ও ১২ শতাধিক বাসে ভেহিকেল ট্রাকিং (ভিটিএস) প্রক্রিয়ার সব প্রদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম।
বিআরটিসি তার জনকল্যাণকর কাজের জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশসিংত হয়েছে। যার স্বীকৃতিস্বরুপ ২০২১-২২ অর্থবছরে এপিও বাস্তবায়নে ১ম স্থান, মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেছে এও বলেন তিনি।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি ডিপোতে আইসিটি সেল গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ৮৫ শতাংশ কাজই ই-ফাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে নতুন মাত্রা অঅনয়নের লক্ষ্যে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তি ও অঅধুনিক প্রশিক্ষনের জন্য সিমুলেটর সংযোজন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :