জনকণ্ঠের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডিইউজের উদ্বেগ

সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাংবাদিক-কর্মচারীদের নোটিশের নামে হুমকি দিয়ে জনকন্ঠে অস্থিরতা তৈরির যে পায়তারা চলছে তা ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়। মনে রাখা দরকার, সরকার প্রদত্ত হ্রাসকৃত শুল্কে নিউজপ্রিন্ট আমদানী, ঢালাও বিজ্ঞাপণসহ নানারকম সুবিধাদি গ্রহণের পরেও যে পত্রিকায় সাংবাদিক-কমচারীদের টানা ৭/৮ বছর ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি দেয়া হয়না, সেই পত্রিকা মালিকের মুখে হুমকি প্রদান বেমানান ও অশোভন।

বিবৃতেতে নেতৃবৃন্দ ‘ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকণ্ঠ ইউনিট' এবং দৈনিক জনকণ্ঠ সাংবাদিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ন্যায়সংগত দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

ডিইউজে মনে করে, জনকণ্ঠে এখন পর্যন্ত ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। অনেক সাংবাদিক-কর্মচারীকে থোক বেতন-ভাতা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যা অশোভন এবং সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশের পরিপন্থী। আর্থিক সঙ্কটে বহু সাংবাদিক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করলেও তাদের কোনও রকম সুবিধাধি দেওয়া হচ্ছে না।  

ডিইউজে নেতারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অন্যায়ভাবে কোনও একজন সাংবাদিক কর্মচারীকে ছাঁটাই করা যাবে না। এ ধরনের কোনও পদক্ষেপের চিন্তা বা বাস্তবায়ন করা হলে সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

ডিইউজে মনে করে, বিশেষ একটি মহল জনকণ্ঠের নিয়মিত প্রকাশনা বাধাগ্রস্থ করতে চায়। তারা অতীতেও এ ধরণের চেষ্টা-ধান্ধায় সরকারের নজর কেড়ে বাড়তি সুবিধাদি আদায় করেছে। তাই জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ, ডিইউজে জনকণ্ঠ ইউনিট এবং দৈনিক জনকণ্ঠ সাংবাদিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদকে এ ধরণের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে ডিইউজে। 

এর পাশাপাশি সাংবাদিক-কর্মচারীদের সাথে বৈঠক বসে জনকন্ঠের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রয়োজন বলে মনে করেন নেতারা। অবিলম্বে ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন, ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি প্রদানের দাবি জানায় ডিইউজে। 

একুশে সংবাদ / ড.জে / এস