AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

‍‍`সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বেচতে নিষেধ করায় সাম্যকে হত্যা‍‍`


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২:২৪ পিএম, ৮ নভেম্বর, ২০২৫

‍‍`সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বেচতে নিষেধ করায় সাম্যকে হত্যা‍‍`

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে সাতজন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আখতার মোর্শেদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে উদ্যানে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল। এ চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন মেহেদী হাসান। তার সহযোগীরা হলেন—রাব্বি ওরফে ‘কবুতর রাব্বি’, রিপন ওরফে ‘আকাশ’, নাহিদ হাসান পাপেল, হৃদয় ইসলাম, হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে ‘লম্বু সোহাগ’ এবং রবিন।

চার্জশিটে বলা হয়, সাম্য নিয়মিত উদ্যানে ঘুরতে যেতেন এবং বন্ধুদের নিয়ে স্থানীয়দের মাদকবিরোধী সচেতনতায় যুক্ত ছিলেন। এতে মাদক চক্রের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ১৩ মে রাতে সেই বিরোধের জেরেই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

সেদিন রাতে সাম্য বন্ধুসহ মোটরসাইকেলে উদ্যানে গেলে মুক্তমঞ্চের কাছে ‘কবুতর রাব্বি’র হাতে ইলেকট্রিক ট্রেজারগান দেখতে পান। তিনি আপত্তি করলে তর্কের একপর্যায়ে রাব্বির সহযোগীরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় রাব্বির হাতে থাকা সুইচগিয়ার (চাকু) দিয়ে সাম্যর ঊরুতে আঘাত করা হয়। রক্তক্ষরণে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ঘটনার কিছুদিন আগে মেহেদী হাসান তার সহযোগীদের আত্মরক্ষার নামে সুইচগিয়ার ও ট্রেজারগান সরবরাহ করেছিলেন। তবে সেই অস্ত্রই পরিণত হয় হত্যার অস্ত্রে।

ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ডিবি বৃহস্পতিবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

অভিযুক্তরা হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন।

অন্যদিকে তদন্তে অংশগ্রহণ প্রমাণিত না হওয়ায় সুজন সরকার, তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক ও পলাশ সরদারকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, “এটি আকস্মিক হত্যাকাণ্ড নয়; পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!