রাজধানীর চানখারপুলে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আজ ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে ২০ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের কথা রয়েছে। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১৬ অক্টোবর এ মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সাক্ষ্য শেষে তাকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর আসিফ মাহমুদের প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সময়ের অভাবে তা শেষ না হওয়ায় প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল ১৬ অক্টোবর অবশিষ্ট জবানবন্দির দিন নির্ধারণ করে।
১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আসিফ মাহমুদ তার জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পটভূমি এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন। তিনি দাবি করেন, ওইদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালান এবং পরবর্তীতে তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। এসব ঘটনার জন্য তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ কয়েকজনকে দায়ী করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন— শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
পলাতক আসামিরা হলেন— সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
গত ১৪ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালানোর ঘটনায় ছয়জন নিহত হন— শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

