জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ (সোমবার) দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জন এ মামলার আসামি।
গত ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়। সেদিন পুলিশ সদস্য এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। পরে তাদের জেরা করেন গ্রেপ্তার ছয় আসামির এবং পলাতক ২৪ আসামির আইনজীবীরা।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম, আবদুস সোবহান তরফদার ও সুলতান মাহমুদ।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। ২১ সেপ্টেম্বর সপ্তম দিনে সাক্ষ্য দেন আবু সাঈদের সহযাত্রী সিয়াম আহসান আয়ান, যিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
এছাড়া ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুই দিনে সাক্ষ্য দেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম, এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হক এবং তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনিসুর রহমান।
প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৮ আগস্ট, আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও সাংবাদিক মঈনুল হকের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে।
গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে রয়েছেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকিরা পলাতক।
গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলায় মোট ৬২ জন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে