পেটের ভেতর ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের বল লুকিয়ে দুবাই থেকে পৃথক ফ্লাইটে আসার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের তিনদিন ও একজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই সফিকুল ইসলাম।
রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত তিন আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনদিনের রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জসীম উদ্দিন (৪৭), লিটু মিয়া (৩৯) ও জুম্মন খান (৪৫)। অপর আসামি মো. আলী হোসেনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, পেটের ভেতর স্বর্ণ লুকিয়ে দুবাই থেকে আসছিলেন চারজন। পৃথক ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে ধরা পড়েন তারা। এসব যাত্রীরা পেটের ভেতরে টেপ দিয়ে পেঁচানো ডিম আকৃতির স্বর্ণের বল বহন করছিলেন। যা প্রায় সাত কেজি হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে ও শনিবার ভোরের দিকে পৃথকভাবে তাদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার চারজনের মধ্যে তিনজন প্রাকৃতিক উপায়ে সেই ‘ডিম’ বের করে দেন। অপরজনকে হাসপাতালে নিয়ে পেট থেকে স্বর্ণের বল বের করতে হয়।
উদ্ধার হওয়া এসব স্বর্ণের ওজন ছয় কেজি ৯৫৬ গ্রাম। যার মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে অবতরণ করা এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকায় নামেন যাত্রী জসীম উদ্দিন (৪৭), লিটু মিয়া (৩৯) ও জুম্মন খান (৪৫)।
তারপর ভোর ৫টায় ইউএস-বাংলার আরেকটি ফ্লাইটে নামেন আলী হোসেন নামের এক যাত্রী। বিমানবন্দরে নামার ওপর তাদের নজরদারি করে একটি গোয়েন্দা সংস্থা, কাস্টমস ও এপিবিএন’র কর্মকর্তারা। পরে তাদের আটক করে জানতে চাওয়া হয়, তাদের কাছে শুল্কযোগ্য কোনো পণ্য আছে কিনা। তারা অস্বীকার করলে তল্লাশি করেও কিছু পাওয়া যায়নি। পরে উত্তরার হলি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে এক্স-রে করলে পেটের ভেতর ডিম্বাকৃতির বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তাদের বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হলে তিনজন প্রাকৃতিক কাজের মাধ্যমে ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট বের করে দেন। আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের সহায়তায় স্বর্ণের বল বের করা হয়।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :