গাজার ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে জাতিসংঘ অভিযোগ তুলেছে, দেশটি ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধাপরাধ করছে। একই দিনে গাজায় আরও ৫২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের হামলার মাত্রা মানবতার বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, মানবিক সাহায্য ঠেকানো এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর টার্গেটেড আঘাত যুদ্ধাপরাধেরই শামিল। তাঁর মতে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জবাবদিহির যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা শহরের বাসিন্দাদের ‘অবিলম্বে শহর ছাড়তে’ সতর্ক করে দিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীও নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, টানা বোমাবর্ষণে অন্তত ৫০টির বেশি ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং আরও শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত। বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবু ও আশ্রয়কেন্দ্রও হামলার শিকার হয়েছে। কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টিরও বেশি তাঁবু ধ্বংস হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার একদিনেই গাজায় অন্তত ৫২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ৩২ জন গাজা শহরে প্রাণ হারান। আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে— তাদের মধ্যে দুজন শিশু।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালউশাও সোমবারের হামলায় নিহত হন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ২৫০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যাদের সবাই ফিলিস্তিনি নাগরিক। বিদেশি সংবাদকর্মীদের এখনো গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, যা আধুনিক ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, উত্তর গাজায় সড়কে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক আঘাত হানায় তাদের চারজন সেনা নিহত হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে