পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর তেহেরান দাবি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার করা হবে—এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সোমবার (২ জুন) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বাঘেই জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি চুক্তির প্রস্তাব এসেছে, তবে তা এখনও মূল্যায়নাধীন। ইরান চায়, যেকোনো সমঝোতা বাস্তবায়নের আগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা দিক। তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, এতে গোপনীয়তার কিছু নেই।”
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম মজুদ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউস এই প্রস্তাবকে ইরানের ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ বলে দাবি করেছে, তেহেরান এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘকে ব্যবহার করে ইরানের স্বার্থে চাপ প্রয়োগ করছে।
জাতিসংঘের এক ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইরান ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ মাত্রার ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত ৯০ শতাংশের মাত্রার কাছাকাছি। তবে বাঘেই এ প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কর্মকর্তারা আবারো ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে ‘রেড লাইন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
চলমান আলোচনায় সাত সপ্তাহ অতিক্রম করেছে উভয় পক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ চুক্তির প্রত্যাশায় থাকলেও, ইরান তার ওপর আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার স্পষ্ট নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো চুক্তিতে যেতে চায় না।
একুশে সংবাদ / চ.ট/এ.জে