আইপিএলে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার আনন্দ যেন মুহূর্তেই রূপ নিল ভয়াবহ শোকে। বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) শিরোপা উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৪ জুন) বিকেলে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। হাজার হাজার মানুষ গেটের বাইরে জমায়েত হন কোহলিদের একনজর দেখতে। ভিড় ক্রমেই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে বহু মানুষ মাটিতে পড়ে যান। অনেকে পদপিষ্ট হন। আহতদের দ্রুত স্থানীয় বাউরিং হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এনডিটিভিকে বলেন,“অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আমি দুঃখিত। ৫,০০০ এর বেশি কর্মী নিয়োজিত ছিল। এটা ছিল প্রাণবন্ত তরুণদের ভিড়—আমরা তাদের উপর বলপ্রয়োগ করতে পারিনি।”
স্টেডিয়ামের আশপাশের মেট্রো স্টেশনগুলোতেও দেখা যায় বিপুল জনতার ঢল। ট্রেন থেকে নেমে হাজারো মানুষ সিঁড়ি বেয়ে স্টেডিয়ামের দিকে ছুটে আসে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। হুড়োহুড়িতে অনেকে রাস্তায় পড়ে যান।
যখন চিন্নাস্বামীর বাইরে মৃত্যু ও আতঙ্ক, তখন স্টেডিয়ামের ভেতরে শিরোপা উদযাপন চলছিল। কোহলি, ডু প্লেসিসরা ছিলেন কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সংবর্ধনায়। তাদের পরানো হয় উত্তরীয়, পাগড়ি ও মালা।
শিরোপা নিয়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছায় দল। বাইরে তখনও হাজার হাজার মানুষ স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু প্রবেশাধিকার ছিল কেবল পাসধারীদের।
আইএএনএসকে পুলিশ জানিয়েছে, উদযাপন ঘিরে তারা মঙ্গলবার রাত থেকেই মোতায়েন ছিল। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রস্তুতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
“এই উদযাপন কীভাবে জননিরাপত্তা উপেক্ষা করল, তার তদন্ত দাবি করছেন অনেকেই,” বলছেন বিশ্লেষকরা।
বেঙ্গালুরু শিরোপা জিতলেও ভক্তদের চোখে আনন্দ আর বেদনার মিশেল। একটি জয় কতটা মূল্য চায়—সেই উত্তর মিলেছে চিন্নাস্বামীর বাইরে হতাহত পরিবারগুলোর আর্তনাদে।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এ.জে