ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ১৩ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬ ও ৭ মে রাতের মধ্যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী বিনা উসকানিতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে হামলা চালায়। এসব হামলায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয় বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাসদস্যরা অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা আরও দু’জন সৈন্যের মৃত্যু হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে পৌঁছেছে। নিহত ওই দুই সেনা হলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাবিলদার মোহাম্মদ নাভিদ ও বিমান বাহিনীর সিনিয়র টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ আয়াজ।
এদিকে, সংঘাতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৮ জন সেনাসদস্য। তারা বর্তমানে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ভারতীয় বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১২১ জন আহত হয়েছেন।
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাবর্ষণ ও গুলিবিনিময়ের সময় পাকিস্তানের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ৭ মে, কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর। ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে `অপারেশন সিঁদুর` নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়।
পরবর্তীতে পাকিস্তানও পাল্টা হামলায় ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করে। পাল্টাপাল্টি এই হামলায় দুই পক্ষ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে।
ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনার সময় তাদের পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আমাদের পাঁচজন সাহসী সহকর্মীকে হারিয়েছি। তাদের আত্মত্যাগ জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
একুশে সংবাদ//ঢা.প//র.ন