কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা টানা অষ্টম রাতেও অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, বিনা উসকানিতে পাকিস্তানি সেনারা কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর সীমান্তবর্তী পোস্টগুলোর দিকে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। জবাবে ভারতও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
ঘটনার বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। দেশটির কোনো গণমাধ্যমেও বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষের তথ্য প্রকাশ পায়নি।
এ পরিস্থিতিতে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। ভারত এরইমধ্যে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে, আর পাকিস্তান সিমলা চুক্তি ও আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামের একটি সংগঠন, যাকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত।
হামলার পর দুই দেশই একে অপরের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়। ফলে সীমান্ত উত্তেজনার পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্কও সংকটে পড়েছে।
একুশে সংবাদ// স.কা/ এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :