AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চারদিনের সম্মেলন শেষ: ঐকমত্য হলো না বিজিবি-বিএসএফের


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪:১৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চারদিনের সম্মেলন শেষ: ঐকমত্য হলো না বিজিবি-বিএসএফের

দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৫৫তম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনীর বৈঠক চার দিন ধরে চললেও, বিতর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে কোনো সমাধান আসেনি। বৈঠকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রকাশ করেছে।

দিল্লিতে এই বৈঠক করতে এসেছিলেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিং চৌধুরী।

বৈঠক শেষে দুই বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, আলোচনায় বহু বিষয় উঠে এসেছে। দুই দেশই বিষয়গুলো নিয়ে আরো আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছে। সব মিলিয়ে বৈঠক সন্তোষজনক হয়েছে। তবে জানা গেছে, এই বৈঠকে কোনো দেশই চলতি সীমান্ত বিতর্কের সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারেনি।

বৈঠকে ভারত অনুপ্রবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটছে, এই অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি অস্ত্র-সহ একাধিক জিনিস পাচারের অভিযোগও উঠেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ আলোচনায় তুলে এনেছে সীমান্তে কাঁটাতার লাগানোর প্রসঙ্গ। অভিযোগ, কোনো কোনো জায়গায় ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের ১৫০ গজের ভেতর কাঁটাতার নির্মাণ করছে। যা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের পরিপন্থী।

সম্প্রতি মালদার কাছে সবদলপুর গ্রামে এমনই কাঁটাতার লাগানো নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রীতিমতো বচসা হয়। কার্যত সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। দিল্লির বৈঠকে সে কথা উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

বিজিবির ডিজি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কিছু নির্মাণ করতে হলে আলোচনা প্রয়োজন। অন্য দেশকে সে বিষয়ে জানানো দরকার। কেন ওই নির্মাণ জরুরি, তা বলতে হবে। দুই দেশ রাজি হলে তবেই এই ধরনের নির্মাণ করা সম্ভব।

অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমন্ত সুরক্ষার জন্য সিঙ্গেল লাইন ফেন্স বা আধুনিক কাঁটাতার লাগানো জরুরি। সীমান্তের সুরক্ষার জন্য যৌথ বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের দিক থেকে বিএসএফ এবং ভারতের নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইনসারজেন্ট গ্রুপের (আইআইজি) বিরুদ্ধে বিজিবিকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভিযোগ, এই ধরনের গ্রুপ ভারতে জঙ্গি হামলা চালানোর ছক কষছে। সীমান্তে যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

সীমান্তে কাঁটাতার ছাড়াও আগরতলা সীমান্তে খালে জল পরিশোধন প্লান্ট বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিজিবি। সীমান্তবর্তী নদীর জলবন্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ভারত সীমান্তে সশস্ত্র দুষ্কৃতিদের আনাগোনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজিবি।

চারদিনের সম্মেলন শেষে দুই দেশের ডিজি যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। সেখানে আলোচ্য বিষয়গুলো নিয়ে সহমতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে যে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কগুলো এবারের বৈঠকে আলোচিত হয়েছে, তার কোনো স্থায়ী সমাধানসূত্র মেলেনি বলেই সূত্র জানিয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস

Shwapno
Link copied!