কলকাতায় মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর খুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মৌমিতা দেবনাথ নামের ওই শিক্ষার্থী রাজ্যটির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি বিধানসভার বাসিন্দা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত শুক্রবার (৯ আগষ্ট) কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে মৌমিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তার সহপাঠীরা। সঙ্গে সঙ্গেই তারা হাসপাতালের সুপার ও হাসপাতালের আউটপোষ্টের পুলিশকে খবর দেয়।

এই ঘটনার পরপরই হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারা একমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া বাকি সব বিভাগে কাজকর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

অবস্থার গুরুত্ব বুঝে কলকাতা আরজি কর মেডিকেল কলেজে উপস্থিত হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন মৌমিতা।

বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) রাত ২টা পর্যন্ত ডিউটি করেন মৌমিতা। পরে কর্মরত আরো দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান তিনি। শুক্রবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেমিনার হল থেকেই মৌমিতা দেবনাথের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ দাবি করেছেন, হাসপাতালের ভেতরেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই শিক্ষার্থীকে।

পরবর্তীতে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও হত্যার আগে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

মৌমিতা দেবনাথের বাবা বলেন, আমি আমার মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ন্যায় বিচার চাই। যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, অভিযোগ যা করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে গুরুতর। আইন আইনের পথে চলবে।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, এই ঘটনা ঘটেছে রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। মৌমিতার গলার ডানদিকের একটি হাঁড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা গেছে। সাধারণত শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হলে এভাবে হাঁড় ভাঙার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এরইমধ্যে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। ওই তদন্তকারী দলে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা।

একুশে সংবাদ/ এস কে