অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় আড়াই বছর আগে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর জারি করা জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে মিয়ানমারের সেনা-নিয়ন্ত্রিত সরকার। ফলে, দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
সোমবার (৩১ জুলাই) মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোয় চলতি বছর মিয়ানমারে যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের কথা ছিল তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
মিয়ানমারের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ (এনডিএসসি) জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন।
এনডিএসসি নামে সাংবিধানিক সরকারি সংস্থা হলেও, বাস্তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
২০২১ সালে অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আগামী আগস্টেই সেই নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছিলন তিনি।
তবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পর এই নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এনডিএসসি’র প্রতিবেদনে শুধু বলা হয়েছে, ‘জরুরি অবস্থার লক্ষ্যগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর’ সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
এদিকে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো যখন মিয়ানমারজুড়ে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি ডলারের ঘাটতিতেও ভুগছে দেশটি।
এর আগে, সোমবার (২৪ জুলাই) মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি করেছে জান্তা সরকার। তাকে রাজধানী নেপিদোর একটি সরকারি বাসভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতারের পর মে মাস পর্যন্ত সু চিকে গৃহবন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তারপর জুন মাসে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :